শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ: দেশে বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলছে আবাসন সমস্যা। ফসলি জমিতে তৈরি হচ্ছে আবাসন। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, হাটবাজার ও কলকারখানা তৈরির ফলে ক্রমবর্ধমান হারে কমে যাচ্ছে আবাদি জমি। চাহিদা মেটাতে স্বল্প জমিতে অধিক ফলনের জন্য ক্ষতিকর কীটনাশক ও সার ব্যবহার করা হচ্ছে। হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তায়। তাই দেশের বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা দেবে নতুন পদ্ধতি অ্যাকুয়াপনিকস।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে দুই দিনব্যাপী অ্যাকুয়াপনিকসের ওপর প্রশিক্ষণ ও আর্ন্তজাতিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, অ্যাকুয়াপনিকস হলো সার ও কীটনাশক না দিয়ে মাটিবিহীন মাছের চাষকৃত পানির মধ্যে সবজি চাষ। বাড়ির ছাদ ও আঙ্গিনায় অ্যাকুয়াপনিকস পদ্ধতির মাধ্যমে জৈব খাবার উৎপাদন করে নিজের পরিবার ও সমগ্র জাতিকে নিরাপদ খাদ্য উপহার দেওয়া সম্ভব। এছাড়া এটি একটি জলবায়ু-সহনশীল প্রযুক্তি।
অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমদ। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আমেরিকার লিডিং সায়েন্স ইউনিভার্সিটি ও ন্যাশনাল হাওয়াইয়ের অধ্যাপক ড. জি. ভারনন বায়ার্ড।
প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন অ্যাকুয়াপনিকসের উদ্ভাবক এবং বাকৃবি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ সালাম ও আমেরিকার লিডিং সায়েন্স ইউনিভার্সিটি ও ন্যাশনাল হাওয়াইয়ের অধ্যাপক ড. জি. ভারনন বায়ার্ড।