বর্ষা-বন্ধু এ্যলয়

 

 

বর্ষার দিনে সাধের পালঙ্কে ময়েশ্চারাইজার লেগে পালিশ চটে গিয়েছে। বারান্দায় সাজিয়ে রাখা মোড়াগুলোর দিকে আর তাকানো যায় না। ঘুণে ধরেছে টেবিলে, চেয়ারে। রঙ উঠে গেছে কিছু আসবাবের। এসব কারণে মনটাই খারাপ হয়ে আছে।

তবে জানেন কী, আজকাল বর্ষার দিনে আসবাব নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কেননা, পানির কারণে একটুও ক্ষতি হয় না এ্যলয়ের আসবাবে। এসব আসবাবপত্র ওয়াটারপ্রুফ। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া একে একটুও কাবু করতে পারে না। চাইলে বর্ষাকালে বারান্দায় পড়ে পড়ে ভিজুক। পানি কিংবা কড়া রোদ কোনো কিছুই এর চাকচিক্য নষ্ট করতে পারে না। তাই টানাটানি করে ঘরে আনারও দরকার পড়ে না। এরপরও একটুও ক্ষতি হবে না আপনার ফার্নিচারে। বরং চেয়ারে বসে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকুন প্রাণভরে।

ব্রিটিশ আমলে গার্ডেন ফার্নিচারের জন্য কাস্ট আয়রন ব্যবহার করা হতো। এ ধরনের আয়রনে তৈরি করা বেঞ্চ, টেবিল প্রভৃতি দিয়ে সাজানো থাকতো শখের বাগান। বাড়ির সঙ্গে মিল রেখে অনেকে কাস্ট আয়রনের ভাস্কর্য রাখতেন। কাস্ট আয়রনে একটা সাবেকী ও ভারিক্কী ভাব আছে। ওজনেও ভারি। অথচ অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি ফার্নিচারের ওজন খুব একটা বেশি নয়। হালকা হলেও মরচে ধরে না। শুধু বাগান নয়, বাড়ির ছাদে বা লনে বসার চেয়ারটিও হতে পারে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। সুতরাং বাঁশ, বেত, কাঠের ফার্নিচারকে ছুটি দিতে পারেন এবার।

বিশ্বের অনেক দেশে ইনডোর কিংবা আউটডোরে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি ফার্নিচারের বেশ কদর রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উন্নত দেশগুলোয় নতুন একশ্রেণির ভোগ্যপণ্য ব্যবহারকারী বেড়ে যায়। তাদের কথা মাথায় রেখে যুক্তরাষ্ট্রের আরভিন ইন্ডাস্ট্রিজ টেলিভিশন সেট, আয়রন বোর্ড প্রভৃতি তৈরি শুরু করে। একইসঙ্গে স্টিলের তৈরি ফার্নিচার তৈরিও শুরু করে তারা। এ ধারাবাহিকতায় পঞ্চাশের দশকে শুরু হয় অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে ফার্নিচার তৈরি।

একটু দেরিতে হলেও আমাদের দেশেই এখন পাওয়া যায় অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি ফার্নিচার। আমাদের দেশে একমাত্র এ্যলয়-ই অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি ফার্নিচার উৎপাদন ও বাজারজাত করে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যেও শুধু অ্যালয় গ্রুপই অ্যালুমিনিয়ামের ফার্নিচার তৈরি করে। অ্যালয় ফার্নিচারের যাত্রা শুরু ২০০৩ সালে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০