শোবিজ ডেস্ক: ভারতীয় অভিনেত্রী শাবানা আজমি মনে করেন, অতীতের তুলনায় বলিউডে এখন অভিনেত্রীদের বিয়ের ঘটনা ক্যারিয়ারে কোনো বাধা সৃষ্টি করে না।
অভিনয়ে নিজের চার দশকের ক্যারিয়ারে তিন দশক ধরেই তিনি বিবাহিত। কিন্তু খ্যাতিমান অভিনয় শিল্পী হয়ে ওঠার পথে জাভেদ আখতারের সঙ্গে তার বিয়ে কখনও বাধা হয়ে উঠতে পারেনি। আর তাই কেবল নিজের ক্ষেত্রেই নয়, শাবানা আজমি মনে করেন ভারতীয় নারীদের বিয়ে মানেই ক্যারিয়ার শেষÑ এ ধারণা পোষণ করার দিন ফুরিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বিয়ে অভিনেত্রীদের ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতিকরÑ এটা এখন মান্ধাতা আমলের চিন্তাধারা। এখন এমনটা আর হয় না। বিয়ের জন্য কাউকে কোনো চরিত্রের অনুপযোগী ভাবার সঙ্গে আমি একমত নই।’
৬৬ বছর বয়সী এ শিল্পী আরও মনে করেন, অভিনেত্রীরা বর্তমানে সঠিক বয়সেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘যখন একটি মেয়ে সঠিক বয়সে, অর্থাৎ যখন সে সংসারের জন্য নিজেকে প্রস্তুত ভাবে, তখন বিয়ে করে, তখন যা হয় সেটা হলো, নায়িকার খোলস থেকে বেরিয়ে তারা পরিণত বোধের দিকে এগোয়। বিয়ের সময়ের পর তারা আরও গভীরতা সম্পন্ন চরিত্র চায়, ফলে তাদের অভিনীত চরিত্রগুলো তাদের বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়’।
ভারতের অন্যতম বেসামরিক খেতাব ‘পদ্মশ্রী’ পাওয়া এ অভিনেত্রী ক্যারিয়ারজুড়েই কাজ করেছেন ‘অঙ্কুর’, ‘আর্থ’, ‘ফায়ার’ এবং ‘নিরজা’র মতো নারীকেন্দ্রিক সিনেমায়। অভিনয়ের পাশাপাশি শাবানা আজমি পরিচিত নারী অধিকার বিষয়ক সমাজকর্মের জন্য। তিনি খুশি যে আজকের বলিউডে আগের তুলনায় নারীকেন্দ্রিক এবং নারীবাদী সিনেমা তৈরির প্রবণতা বাড়ছে।
তিনি বলেন, ‘যদি ষাটের দশকের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন, মীনা কুমারী নায়িকা ছিলেন, এমন একটি সিনেমার নাম ছিল ‘ম্যায় চুপ রহুঙ্গি’। চুপ করে থাকাটা ওই সময় সতীত্বের গুণ হিসেবে ধরা হতো! সৌভাগ্যক্রমে সেটা বদলাচ্ছে। আমাদের অনেক নারী অভিনয়শিল্পীদের করা সিনেমা ও তাদের ওজনদার চরিত্রের জন্য নারীদের নিয়ে চিত্রনাট্য লেখা ও সিনেমা তৈরির প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে।’
Add Comment