মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: ঘুরেফিরে বস্ত্র ও বিমা খাতের শেয়ারে আস্থা রাখতে দেখা যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের। এ কারণে খাত দুটির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যাচ্ছে। গতকালের বাজারেও এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আগের কার্যদিবসের মতো গতকালও বিনিয়োগকারীদের আস্থার শীর্ষে ছিল বিমা ও বস্ত্র খাতের শেয়ার। এ কারণে খাত দুটির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা বেশি ছিল। এর জের ধরে দিন শেষে বিমা ও বস্ত্র খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়।
পাশাপাশি মোট লেনদেনেও সবার শীর্ষে ছিল এ খাত দুটি। দিন শেষে মোট লেনদেনে বিমা খাতের একক অংশগ্রহণ ছিল ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। লেনদেনে পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। এটি লেনদেনে প্রায় ১২ শতাংশ অবদান রাখতে সমর্থ হয়। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে দেখা যায় আর্থিক খাতকে। মোট লেনদেনে এ খাত ১০ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
এদিকে গতকালও ঊর্ধ্বমুখী ছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক। দিন শেষে ৫২ পয়েন্ট বেড়ে সূচকের অবস্থান হয় সাত হাজার ২৫৮ পয়েন্ট। একইভাবে বাড়ে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর বাড়ে ২২৪টির। পক্ষান্তরে ১১৭টির দর হ্রাস ও ৩৫টির দর অপরিবর্তিত থাকে।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট এক হাজার ৯১০ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেনে ছিল প্রায় ২৩ কোটি টাকা। এ মার্কেটে গতকাল ৩৬টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৭২৮টি শেয়ার ৬৪ বার হাতবদলের মাধ্যমে ২২ কোটি ৯৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ সাত কোটি ৬৭ লাখ ৬০ টাকার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ এক কোটি ৭০ লাখ ৫৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের।