মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: পরপর তিন দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক নিন্মমুখী থাকার পর গতকাল আবারও তা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে। দিন শেষে প্রধান সূচক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ছয় হাজার ২৬ পয়েন্টে।পাশাপাশি বাড়তে দেখা গেছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্য গতকাল দর বেড়েছে ২৩১টির, কমেছে ১০৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৩টি কোম্পানির শেয়ারদর।
এদিকে বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গতকাল বস্ত্র খাতের বেশিরভাগ কোম্পানি থেকে মুনাফা তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। এর জেরে দিন শেষে নি¤œমুখী হয়েছে খাতটির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। তবে দর কমলেও বিক্রয় চাপ থাকায় লেনদেনে সবার শীর্ষে চলে যায় খাতটি। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের কোম্পানির একক অবদান দেখা যায় ২৪ শতাংশের কিছু বেশি।
মূলত বেশ কয়েক দিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে বস্ত্র খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। এ কারণে সম্প্রতি যারা শেয়ার কিনেছেন তারা মুনাফায় রয়েছেন। তারাই গতকাল বিক্রেতার ভূমিকায় ছিলেন।
অন্যদিকে গতকাল মোট লেনদেনে বস্ত্রের পরের অবস্থানে ছিল বিমা খাত। এ খাতটি মোট লেনদেন ১২ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। এ খাতটি মোট লেনদেনে প্রায় ১০ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট এক হাজার ৩২৮ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এর মধ্য ১০৫ কোটি টাকা ছিল ব্লক মার্কেটের লেনদেন। গতকাল এ মার্কেটে মোট ৪৬টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। কোম্পানিগুলোর এক কোটি ৭৩ লাখ ২৭ হাজার ৩৭০টি শেয়ার ৯৮ বার হাত বদলের মাধ্যমে ১০৫ কোটি ৭৯ হাজার টাকার লেনদেন হতে দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩৮ কোটি ৭৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ফরচুন শুজের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ কোটি ছয় লাখ ১০ হাজার টাকা জেনেক্সের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ আট কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের।
এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের এক কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার, কনফিডেন্স ডাচ্-বাংলা ব্যাংকেতর সাত কোটি ৫৮ লাখ ৬৮ হাজার, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৯৫ লাখ, এস্কোয়্যার নিটের ৩০ লাখ ১৭ হাজার ও ফু-ওয়াং ফুডের ২৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।