বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরে বড় পতন

সাইমউল্লাহ সবুজ: পুঁজিবাজারে টানা মন্দাবস্থা চলছে। মাঝে দু-এক দিন সূচকের উত্থান হলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা পতনে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ভুগছেন আস্থার সংকটে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও রয়েছেন অনেকটাই হাত গুটিয়ে। এতে অনেকটা বাধ্য হয়েই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন শেয়ারের দাম কমার সীমা নতুন করে বেঁধে দিয়েছে। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে তার কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।

এ দিন সূচকের বড় ধরনের পতন হয়। ২০০-র বেশি কোম্পানির শেয়ারের কোনো ক্রেতা ছিল না। দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। যদিও এ দর হ্রাস লম্বা সময় ধরেই চলছে। এর হাত থেকে রক্ষা পায়নি অধিকাংশই বৃহৎ মূলধনি কোম্পানিও। এমনকি ভালো মৌলভিত্তির বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারদরও নিয়মিতই কমছে। এসব কোম্পানির শেয়ারদর দরপতনের ফলে সূচকে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। যদিও বেশিরভাগ বহুজাতিক কোম্পানিই গত বছর ভালো মুনাফা করেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, সর্বশেষ এক মাসে (২৫ মার্চ- ২৫ এপ্রিল) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে রেকিট বেনকিজারের। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ২০৮ টাকা ৬০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ারদর কমার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১২৮ টাকা ১০ পয়সা। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাটা সুর শেয়ারদর কমেছে ৫৯ টাকা ৭০ পয়সা।

বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ম্যারিকো বাংলাদেশের শেয়ারদর কমেছে ৫৬ টাকা ৭০ পয়সা, বিএটি বাংলাদেশের কমেছে ৪৮ টাকা ৯০ পয়সা, বার্জার পেইন্টসের ৪১ টাকা ৮০ পয়সা এবং লিন্ডে বাংলাদেশের শেয়ার দর কমেছে ৩৭ টাকা ৩০ পয়সা। এছাড়া সিঙ্গার বাংলাদেশের শেয়ারদর এক মাসে কমেছে ১২ টাকা ৭০ পয়সা, গ্রামীণফোনের ৬ টাকা ৬০ পয়সা, লাফার্জ হোলসিমের ৪ টাকা ৮০ পয়সা, আরএকে সিরামিকসের ৩ টাকা ১০ পয়সা এবং রবি আজিয়াটার শেয়ারদর কমেছে ১ টাকা ৮০ পয়সা। তবে গেল এক মাসে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ারদর সামান্য বেড়েছে শুধু হাইডেনবার্গ সিমেন্টের। কোম্পানিটি শেয়ারদর বেড়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা।

কোম্পানি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে পুঁজিবাজার নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। বাজারের সঙ্গে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরেও দরপতন অব্যাহত রয়েছে। তবে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে আলাদাভাবে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই।

ডিএসইর তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ খাতের কোম্পানি রেকিট বেনকিজারের শেয়ারদর ছিল চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ছিল ৫ হাজার ২১৮ টাকা ১০ পয়সা। তবে দুই মাসে কমে তা ২৫ মার্চ দাঁড়ায় চার হাজার ৯০০ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর এক মাসে তা আরও কমেছে। সর্বশেষ গেল বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর নেমে আসে ৪ হাজার ৬৯২ টাকা ১০ পয়সায়।

এর আগে টানা কয়েক মাস ফ্লোরপ্রাইসে আটকে থাকা কোম্পানিটির শেয়ারদর জানুয়ারির প্রথম থেকে বাড়তে শুরু করে। কিন্তু তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১৭৩ টাকা ৬৫ পয়সা, যা ২০২২ হিসাব বছরে ছিল ১৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। এ হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ৩৪ টাকা ১৫ পয়সা। ২০২৩ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেকিট বেনকিজার পর্ষদ।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ারের শেয়ারদরও টানা নিম্নমুখী। ফ্লোর প্রাইসের ওপরে লেনদেন হওয়া কোম্পানিটির শেয়ারদর গেল ৩ মার্চ ছিল ২ হাজার ২৭১ টাকা ১০ পয়সা। ২৫ মার্চ তা নেমে আসে ২ হাজার ২৩ টাকা ৬০ পয়সায়। গেল বৃহস্পতিবার শেয়ারদর আরও কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৯৫ টাকা ৫০ পয়সা।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৯ টাকা ৮৯ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা। এতে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ১১ টাকা ৯৯ পয়সা। ২০২৩ হিসাব বছরে ইউনিলিভার কনজিউমর কেয়ারের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০০ শতাংশ লভ্যাংশ নগদ ঘোষণা করেছে।

ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত থাকা অবস্থায় স্বাভাবিক লেনদেন হওয়া বাটা সু’র শেয়ারদরও সম্প্রতি পতনমুখী। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার এক দিনে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা কমে ৯৪১ টাকায় নেমে এসেছে। এর আগে ২৫ মার্চ বাটা সু’র শেয়ারদর ছিল এক হাজার টাকা।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরের কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৯ টাকা ৩১ পয়সা, যা আগের হিসার বছরে ছিল ২৯ টাকা ৯৮ পয়সা। এ হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে মাত্র ৬৭ পয়সা। এরপরও ২০২৩ অর্থবছরে বাটা সু শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৪৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে।

একইভাবে বার্জার পেইন্টসের শেয়ারদর গেল ২৫ জানুয়ারি ছিল ১ হাজার ৯৯৫ টাকা ৪০ পয়সা। এর পর থেকে কোম্পানিটির শেয়ার দর পতনের  ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২৫ মার্চ তা নামে ১ হাজার ৭৮০ টাকা ৩০ পয়সায়, যা গত বৃহস্পতিবার নেমে আসে ১৭৩৮ টাকা ৫০ পয়সায়।

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলমান ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (এপ্রিল-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৯ টাকা ৩৮ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৪৪ টাকা ১৬ পয়সা। অর্থাৎ ৯ মাসে বার্জারের ইপিএস বেড়েছে ৫ টাকা ২২ পয়সা।

ম্যারিকো বাংলাদেশের শেয়ারদর দীর্ঘ সময় ফ্লোর প্রাইসে স্থির থাকলেও গত বছরের শেষ দিকে ওঠানামায় স্বাভাবিক গতি ফিরে। এর মধ্যে গেল ২৩ জানুয়রি কোম্পানিটির শেয়ার দর ২ হাজার ৬২৭ টাকা ৩০ পয়সায় পৌঁছায়। এর পর থেকে শেয়ার দরের ধারাবাহিক পতনের ফলে ২৫ মার্চ তা পৌঁছে ২ হাজার ৪৬৯ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ২৪১৩ টাকা ১০ পয়সায় নেমে এসেছে।

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ম্যারিকো বাংলাদেশ হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (এপ্রিল, ২৩-ডিসেম্বর, ২৩) প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ১১৪ টাকা ২২ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯৪ টাকা ৯৫ পয়সা। অর্থাৎ ৯ মাসে ইপিএস বেড়েছে ১৯ টাকা ২৭ পয়সা।

দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইসে আটকে ছিল লিন্ডে বাংলাদেশের শেয়ার। গত ২১ জানুয়ারি ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের কোম্পানিটির শেয়ারদর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ১৮ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১ হাজার ৩৯৭ টাকা ৭০ পয়সা। ২৫ মার্চ তা নেমে আসে ১ হাজার ৮৬ টাকা ১০ পয়সা, যা গত বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৪৮ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে আসে।

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৩-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩১ টাকা ৮৯ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে তা ৪৮ টাকা ৭৮ পয়সা ছিল। অর্থাৎ গত বছর কোম্পানিটির ইপিএস ৯ মাসে কমেছে ১৬ টাকা ৮৯ পয়সা।

এদিকে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার প্রথম দিনেই গত ১৯ মার্চ রবি আজিয়াটার শেয়ারদরে বড় পতন হয়। ওই দিন লেনদেন শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩০ টাকা। ২৫ মার্চ তা নেমে আসে ২৬ টাকা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার তা ২৪ টাকা ৯০ পয়সায় নেমে আসে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬১ পয়সা, যা আগের বছর ৩৫ পয়সা ছিল। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ২৬ পয়সা। আলোচ্য বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে রবি।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবিসি) শেয়ারও দীর্ঘদিন ৫১৮ টাকা ৭০ পয়সায় নিশ্চল ছিল। কোম্পানিটির ওপর থেকে ফ্লোরপ্রাইস উঠে যাওয়ার পর ৪ মার্চ থেকে দরপতন শুরু হয় কোম্পানিটির। পরে প্রায় প্রতিদিনই কমছে কোম্পানিটির শেয়ারদর। ২৫ মার্চ তা ঠেকে ৪১৩ টাকা ৪০ পয়সা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ৩৬৪ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে আসে বিএটির শেয়ারদর।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ টাকা ১১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৩ টাকা ১০ পয়সা। আলোচ্য বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ বিএটিবিসি পরিচালনা পর্ষদ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের শেয়ারদর প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ওঠানামা করেনি। কোম্পানিটির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়া পর প্রথম দিনেই দরপতন ঘটে, যা পরে অব্যাহত রয়েছে।

২৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সা, যা ২৫ মার্চ নামে ২৪১ টাকা ৬০ পয়সা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার তা ২৩৫ টাকায় নেমে আসে। আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাববছরে গ্রামীণফোনের ইপিএস হয়েছে ২৪ টাকা ৪৯ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২২ টাকা ২৯ পয়সায়। গ্রামীণফোন আলোচ্য হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

প্রকৌশল খাতের কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশের শেয়ারদর গত ১৬ জানুয়ারি ছিল ১৫৭ টাকা ৮০ পয়সা। এরপর থেকে তা ধারাবাহিকভাবে কমছে। ২৫ মার্চ এ শেয়ারদর নামে ১৪৭ টাকায়। গত বৃহস্পতিবার ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সায় নেমে এসেছে। আর্থিক প্রতিবেদক অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ২৪ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ৭৩ পয়সা। অর্থাৎ গেল বছর সিঙ্গারের ইপিএস বেড়েছে ৪ টাকা ৫১ পয়সা। ২০২৩ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সিঙ্গার।

বহুজাতিক অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে লার্ফাজ হোলসিম সিমেন্টের শেয়ারদরও রয়েছে পতনের ধারায়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে ৬৪ টাকা ৬০ পয়সায়, ২৫ মার্চ যা ছিল ৬৮ টাকা ২০ পয়সা। আর্থিক প্রতিবেদক অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাববছরের কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ১২ পয়সা, যা আগের হিসাববছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। ২০২৩ সালে জন্য লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ শেয়ারহোল্ডারদের ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।

সিরামিক খাতের কোম্পানি আরএকে সিরামিকসের শেয়ারদর গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকা ৩০ টাকায়। ২৫ মার্চ তা ছিল ৩২ টাকা ৪০ পয়সা। আর্থিক প্রতিবেদক অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৪ পয়সা, যা গত হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৫৭ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরে আরএকে সিরামিক শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

বহুজাতিক অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে হাইডেলবার্গ সিমেন্টের শেয়ারদর স্বাভাবিক ওঠানামা করলেও এক বছর সময় বিবেচনা করলে তা রয়েছে পতনের ধারায়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে ২২২ টাকা ৫০ পয়সায়, যা ২৫ মার্চ ছিল ২২০ টাকা ৪০ পয়সা।

আর্থিক প্রতিবেদক অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ১৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ৪ টাকা ১৩ পয়সা লোকসান হয়েছিল। ২০২৩ হিসাব বছরের হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০