বাঁচার জন্যই জানতে হবে

প্রতিবছর অনেক মানুষ প্রাণ হারান। এত মৃত্যুর কারণ কী? মৃত মানুষগুলোর হিসাব কেন রাখা হয়? রোগ ও দুর্ঘটনা নিয়ে কেন গবেষণা হয়? মৃত্যু কতটা প্রভাব ফেলে আমাদের মনে? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার মাধ্যমে একটি দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

কেননা, মৃত্যুবিষয়ক পরিসংখ্যানের মাধ্যমে একটি দেশের সরকার জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে একটা ধারণা পায়। এরপর তারা জনগণকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে। মৃত্যুর কারণ ও প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করে তারা। ফলে কমে যায় মৃত্যুর হার। যেমন অনেক দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদরোগ। এ কারণে দেশগুলো জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তনের ওপর প্রচারণা চালায়। আমাদের দেশের কথাই ধরুন এখানে ডায়রিয়া ও মশাবাহিত রোগের মারাত্মক প্রভাব রয়েছে। তাই আমাদের সরকার খাবার, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, মশা নিধন প্রভৃতি বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে। একইভাবে যে দেশে নিউমোনিয়ার কারণে শিশুমৃত্যুর হার বেশি কিন্তু স্বাস্থ্যখাতে সরকারি বরাদ্দ কম। সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তাসহ মৃত্যুর কারণ দূর করতে সেই সরকারকে কিছু নিয়মকানুন বা সমাধানের উপায় নির্ধারণ করে দেয়।

উন্নত দেশগুলো মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিয়মিত গবেষণা করে। কিন্তু অনুন্নত দেশগুলোয় এ ধরনের চর্চা অনুপস্থিত। মৃত্যুর কারণ নিয়ে নির্দিষ্ট তথ্যের অভাব রয়েছে এসব দেশে। এমনকি মৃত্যু পরিসংখ্যানেও গরমিল রয়েছে। তাই মৃত্যুসংক্রান্ত গুণগতমানের ডেটা সংগ্রহের ওপর জোর দেওয়া উচিত। তাতে প্রতিরোধ করা যাবে মৃত্যু।

 

 

 

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০