প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা : শহররক্ষা বাঁধের পাশাপাশি নদীতীরে বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। আম্পানে দেখেছি যেখানে গাছ আছে, সেখানে ভাঙন কম হয়। শুধু বাঁধ বাঁধলেই হবে না, বাঁধ সুরক্ষায় গাছ লাগাতে হবে। গাছ না থাকলে নদীর তীর, ঘরবাড়ি রক্ষা করা যায় না। অজুহাত না দিয়ে এলাকায় গাছ লাগান। গাছের বিকল্প নেই। গতকাল শনিবার সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার হিজলিয়া কোলা এলাকায় সুপার সাইক্লোন আম্পানে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তনে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস বেড়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় বাঁধ ৪ মিটার থেকে ৬-৭ মিটারে উন্নীত করা হবে। তবে নদীভাঙন রক্ষায় নদীতীরের গাছের বিকল্প নেই। বৃক্ষরোপণে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার-জনগণ মিলে কাজ করলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দুর্গবাটী, কামালকাটি, বিড়ালাক্ষী এবং আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ের হাজরাখালি, ঘোলা ত্রিমোহিনী ও হিজলিয়া-কোলা, প্রতানগরের হরিষখালী এলাকার বাঁধ মেরামত কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑসাবেক স্বাস্থ্য ও পরিকল্যাণমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) ড. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী রফিকউল্লাহ, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের প্রমুখ।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন বলেই করোনাকালে দু’হাত ভরে প্রণোদনা দিয়েছেন। কর্মহীন কেউ যাতে অনাহারে না থাকে তার নির্দেশনা দিয়েছেন। আজ উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এদেশের মানুষ ভ্যাকসিন পাচ্ছেন। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে প্রধানমন্ত্রী নিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিকল্যাণমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য (সাতক্ষীরা-৩) আ ফ ম রুহুল হক বলেন, প্রতিমন্ত্রী এ এলাকায় এ পর্যন্ত তিনবার এসেছেন। এলাকার বাঁধ যেন ঠিকমতো হয় সে জন্য এই রোদের মধ্যে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এভাবেই সরকার দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমি প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
বিকালে পরিদর্শনশেষে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (খুলনা জোন) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
এ সময় সংসদ সদস্য (সাতক্ষীরা-২) মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানজিল্লুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।