নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা গ্রামের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিচারিক অনুসন্ধান কমিটি গঠনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির আর্জি জানিয়ে রিট করা হয়েছে। গতকাল মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে এ রিট করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে থাকবেন আইনজীবী জেডআই খান পান্না, সৈয়দা নাসরিন ও শাহীনুজ্জামান শাহীন। আবেদনে শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা, শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে নিরাপত্ত দিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা এবং ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে নাÑতা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়া নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে তিন কোটি টাকা করে ও আহতদের দুই কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না সে বিষয়েও রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।
এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা কিংবা আদালতের মতামত অনুসারে যেকোনো পরিমাণ টাকা দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে বিচারিক অনুসন্ধান কমিটি গঠনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল এ বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন একটি নোটিস পাঠিয়েছিলেন।
গত ১৭ এপ্রিল সকালে বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। আহত হন অনেক শ্রমিক। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে। নিহতরা হলেনÑশুভ (২৩), রাহাত (২৪), আহমদ রেজা (১৯), রনি হোসেন (২২) ও রায়হান (২০)। পরবর্তী সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ এপ্রিল মো. শিমুল (২৩) নামে আহত এক শ্রমিক মারা যান।
বাঁশখালী থানার ওসি শফিউল কবীর বলেন, শনিবারের ঘটনায় পুলিশ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছেন। পুলিশের মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় দুই থেকে আড়াই হাজার জন ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমন্বয়কের করা মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়।