নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসায় নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখল মালয়েশিয়া। এতে বাংলাদেশে অবস্থানরত মালয়েশিয়া প্রবাসীরা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। এ নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা জানায়নি মালয়েশিয়া।
বাংলাদেশসহ ২৩টি দেশের বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সর্বশেষ গতকাল ঢাকার মালয়েশিয়া দূতাবাস নিশ্চিত করেছে।
মালয়েশিয়ান দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ ২৩টি দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। এ কারণে এসব দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়া প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছে।
অবশ্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বা জরুরি প্রয়োজনে কিছু ভিসা ইস্যু করবে মালয়েশিয়ার সরকার। এটি হবে কেস-টু-কেস ভিত্তিতে অর্থাৎ প্রতিটি আবেদন মূল্যায়ন করেই সিদ্ধান্ত নেবে মালয়েশিয়া।
অবশ্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বা জরুরি প্রয়োজনে ভিসা ইস্যু করবে মালয়েশিয়া। আবার বাংলাদেশে অবস্থানরত মালয়েশিয়া ফিরতে ইচ্ছুক ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া কর্মীরা কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারবেন। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে মালয়েশিয়া সরকারের অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করবে। সরকার অনুমোদন দিলে ভিসা ইস্যু হবে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধিতে বাংলাদেশসহ, ভারত, পেরু, কলম্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, চিলি, ইরান, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স ইত্যাদি রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।
এছাড়া মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি নাগরিকদের চলাচলে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কড়াকড়ি করেছে। এই সময়ে কোনো মালয়েশিয়ান নাগরিক বিদেশ থেকে ফিরলে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর চীনও এমন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশিদের ওপর। দেশটি জানিয়েছে, যেসব দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে, তাদের ওপর এ সাময়িক নিষেধাজ্ঞা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ভারত, ইতালি, ফ্রান্স, ইউক্রেন, রাশিয়া, বেলজিয়াম, ফিলিপাইন।
শুধু গত অক্টোবর মাসেই চীনে ৫১৫ জন কভিড-১৯ আক্রান্ত বিদেশি নাগরিক শনাক্ত করেছে, যা গত সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি। আগামী শীত মৌসুমে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধির শঙ্কা করছে দেশটি। এজন্য সতর্কতা হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নিল চীন।