শোবিজ ডেস্ক: সদ্য ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমা ‘বিসর্জন’ বাংলাদেশেও বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পাক এটাই চাইছেন সিনেমাটির নির্মাতা কৌশিক গাঙ্গুলী।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘বিসর্জন’ সিনেমাটিকে ধর্ম, জাতীয়তাবাদ ও রাজনীতির ঊর্ধ্বে বলে অভিহিত করেন কৌশিক।
তিনি বলেন, ‘বিসর্জন-এর গল্প এক মুসলমান পুরুষ ও হিন্দু নারীর প্রেম নিয়ে, যারা যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশে থাকে। এ সিনেমায় বলা হয় মানবতা ও ভালোবাসা সব ধর্মের ঊর্ধ্বে’।
‘বিসর্জন’ নামটির তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে চাইলে কৌশিক বলেন, ‘এটি ভালোবাসার ‘বিসর্জন’। সিনেমাটিতে আমরা ইছামতির তীরে দুর্গা বিসর্জনের চিত্র তুলে ধরেছি, যেখানে নদীটি দুই দেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিজয়া দশমীর দিনে দুর্গা বিসর্জনের সময় দুই দেশের সীমারেখা বিলীন হয়ে যায়। বাংলাদেশ ও ভারতÑদুই দিক থেকেই নৌকা আসে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য। এটা সত্যিই এক অনন্য দৃশ্য এবং এটিকে সিনেমায় আমরা তুলে ধরতে চেয়েছি।’
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ‘বিসর্জন’ বাংলাদেশে দেখানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতি বুঝি না। আমি শিল্পের মাধ্যমে আমরা
ভাবনা তুলে ধরতে চাই।’
কৌশিক আরও বলেন, ‘যেহেতু একই ভাষা বাংলা দিয়ে আমাদের দুই দিক গাঁথা, তাই আমি চাই দুই দেশেই সিনেমাটি দেখানো হোক। কলকাতার অনেক মানুষ আছেন, যাদের পূর্বপুরুষের বাড়ি ছিল তখনকার পূর্ববঙ্গে। তারা এখনও ওখানকার আঞ্চলিক ভাষাতেই কথা বলেন। একই কথা প্রযোজ্য সীমান্তের ওপারের ক্ষেত্রেও। আমি চাই ছবিটি সবাই দেখুক।’
পয়লা বৈশাখে কলকাতায় সিনেমাটির মুক্তি প্রসঙ্গে আনন্দ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি খুব করে চাইছি বাংলাদেশে দ্রুত এটা বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পাক।’
সিনেমাটিতে বাংলাদেশি এক হিন্দু নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। ওদিকে আবির চট্টোপাধ্যায় অভিনয় করেছেন পশ্চিমবঙ্গের এক গ্রাম্য মুসলমানের চরিত্রে।
এ দুজনের চরিত্র প্রসঙ্গে কৌশিক বলেন, ‘আবির এক গ্রাম্য পুরুষের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন; এ চরিত্রে তার শরীরী ভাষা ছিল চমকে দেওয়ার মতো। সিনেমাটিতে এক অন্য জয়া আহসানকেও দেখতে পাবেন আপনারা।’
Add Comment