Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 12:53 pm

বাংলাদেশেও ম্যাচ ফিক্সিং করেছিলেন জামশেদ

ক্রীড়া ডেস্ক: ২০১৭ সালে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ছিলেন নাসির জামশেদ। এদিকে ২০১৬ সালের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলার সময় ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। যার প্রমাণ মেলে পরের বছর। এজন্য ২০১৮ সালের আগস্টে তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড)। তারপরও সাবেক এ পাকিস্তান ওপেনার নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। যে কারণে ডাকতে হয়েছিল আনুষ্ঠানিক শুনানি। সেখানেও শুরুর দিকে নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত জেরার একপর্যায়ে ঠিকই স্বীকার করে নিয়েছেন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে সতীর্থ খেলোয়াড়দের ঘুষ দেওয়ার কথা। গতকাল ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের একটি আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন জামশেদ।

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের এসব পরিকল্পনায় জামশেদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ইউসুফ আনোয়ার ও মোহাম্মদ ইজাজ নামে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিক। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ইংল্যান্ডে আটক হওয়ার পর বিচার শুরু হয় তার। যার জের ধরে পিসিবি তাকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করে। তারপরও চলছিল শুনানি। গতকাল শুরুতে প্রসিকিউশন কর্মকর্তা অ্যান্ড্র থমাস জানান, তাদেরই একজন পুলিশ অফিসার কৌশলে ফিক্সার নেটওয়ার্কে অনুপ্রবেশ করে এবং আনোয়ারের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করে। যেখান থেকে ক্রিকেটে জুয়ার সিন্ডিকেটের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।

২০১৬ সালের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলার সময় ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন জামশেদ। তার সঙ্গে জুয়াড়িদের কথা ছিল, ব্যাটে একটি নির্দিষ্ট রঙের গ্রিপ লাগিয়ে মাঠে নামবেন তিনি। কিন্তু কোনো এক কারণে সে শর্ত পূরণ করতে পারেননি জামশেদ। একই আসরে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে একটা ম্যাচেও ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেন পাকিস্তানি এ ক্রিকেটার। কিন্তু ওই ম্যাচে একাদশ থেকেই বাদ পড়ায় সেবারও সফল হননি। কিন্তু এ দুটি ম্যাচে ফিক্সিং করার জন্য আগেই টাকা নিয়ে রেখেছিলেন পাকিস্তানি এ ওপেনার। এরপর ২০১৭ ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সুপার লিগে অবশেষে জুয়াড়িদের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে ফিক্সিং করতে পারেন জামশেদ। ইসলামবাদ ইউনাইটেড ও পেশোয়ার জালমির একটা ম্যাচে তার সঙ্গে শর্ত ছিল প্রথম দুই বলে কোনো রান না করার। এমনটাই জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।