শেয়ার বিজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি) কর্তৃক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবর (এমওইএফসিসি), ২০০৭ সালের জুলাই মাস থেকে বিগত ১৬ বছরে অনুমোদিত সকল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন (ইআইএ) প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কিত প্রকল্পগুলোর ইআইএ প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে, বিডব্লিউজিইডি সদস্য সচিব জনাব হাসান মেহেদী (বিডব্লিউজিইডি এর পক্ষে) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ২০০৭ সালের জুলাই এ প্রথম জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয় এবং বিগত ষোল বছরে দেশে প্রায় ১২৫ টিরও বেশি বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, যার মধ্যে প্রকল্প বিকাশকারী বা অর্থায়নকারীদের দ্বারা শুধুমাত্র ২০ টির মতো ইআইএ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলির পরিবেশগত পরিণতি মূল্যায়নের জন্য এই প্রতিবেদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিডব্লিউজিইডি সদস্য সচিব জনাব হাসান মেহেদী বলেন,”ইআইএ (পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন) প্রতিবেদন প্রকাশ না করা সংবিধানের ১৮(ক)অনুচ্ছেদের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এই অনুচ্ছেদে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়নের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইআইএ প্রতিবেদন গোপন রাখা কেবলমাত্র এই অনুচ্ছেদের লঙ্ঘনই নয়,বরং এটি জনগণের তথ্যের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন ও বটে। অথচ, বিগত ষোল বছর ধরে এই অবিচার অব্যহত রয়েছে, যা আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”
এ সকল দিক বিবেচনায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় (এমওইএফসিসি) বরাবর বিডব্লিউজিইডি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে অনুরোধ জানিয়েছে, সেই সাথে তিনটি প্রধান দাবিও প্রস্তাব করেছে:
১. ২০০৭ সালের জুলাই মাস থেকে বিগত ১৬ বছরে অনুমোদিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কিত প্রকল্পগুলোর ইআইএ প্রকাশ করা
২. প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রকল্প গুলোর খসড়া ইআইএ প্রতিবেদন সংগ্রহের জন্য প্রকাশ করা এবং
৩. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কিত প্রকল্পগুলোর পরিবেশগত ছাড়পত্র নবায়নের তারিখ, এবং নবায়নের পক্ষে জমা দেওয়া দলিলসমূহ প্রকাশ করা।
বিডাব্লিউজিইডি আশাবাদী যে, স্বচ্ছতা, জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং বাংলাদেশের পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অনতিবিলম্বে সমাধান করবে এবং জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
