আফসানা মিমি। অভিনয়শিল্পী, নির্মাতা ও সংগঠক। সম্প্রতি শোবিজের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি
এখন কী নিয়ে ব্যস্ত?
অভিনয়ের ব্যস্ততা নেই বললেই চলে। এখন আমার যতো ব্যস্ততা, তা একাডেমিকে ঘিরে। উত্তরায় আমার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন একাডেমিতে দিনরাতের অধিকাংশ সময় পার হয়। আরও দুটি স্কুলের কাজ শিগগির শুরু করবো। সেটা নিয়েও ব্যস্ততা আছে।
অভিনয়ে ফিরবেন না?
আসলে অভিনয়ের জন্য যে প্রস্তুতি দরকার, তা আমার নেই। তাছাড়া অভিনয়ের জন্য আমি মানসিকভাবেও প্রস্তুত নই। দু-একটি ভালো কাজ করা যেতে পারে। তবে আগের মতো অভিনয়ে নিয়মিত হওয়া এখন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
অভিনয়কে মিস করেন না?
তা তো অবশ্যই করি। তবে আমি মনে করি, পর্দার সামনের চেয়ে পেছনের দায়িত্ব অনেক বেশি। তাই আমি পেছন থেকে কাজ করছি।
পরিচালক মিমি সম্পর্কে কিছু বলুন…
কদিন আগে এটিএন বাংলায় ‘সাতটি তারার তিমির’ ধারাবাহিকটি শেষ হয়েছে। সেটা পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এখন নতুন কিছু গল্পের আইডিয়া মাথায় আছে। সেগুলো নিয়ে সামনে কাজ করতে চাই।
আমাদের টেলিভিশন মিডিয়া নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই…
এটা নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক কথাই বলতে হবে। এখন আমাদের দেশে অনেক চ্যানেল। তবু আমরা দর্শক ধরে রাখতে পারছি না। কারণ আমাদের দেশে বিষয়ভিত্তিক চ্যানেল নেই। বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশেই কমবেশি বিষয়ভিত্তিক চ্যানেল রয়েছে। আর আমাদের এখানে খবর, বিনোদন, গান, খেলা সবমিলিয়ে একেকটি চ্যানেল। হ্যাঁ, আমাদের দেশে কিছু সংবাদভিত্তিক চ্যানেলও আছে। তবে তারা তাদের চরিত্র নিয়ে চলছে। বাংলাদেশে কোনো চ্যানেলের নির্দিষ্ট আইডেনটিটি নেই। লোগো উঠিয়ে দিলে কোনটা কোন চ্যানেল, বুঝতে পারাটা কষ্টসাধ্য হবে। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশের টেলিভিশন মিডিয়ার সামনে ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে। তাই সবার সম্মিলিতভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
‘রানওয়ে’র কী খবর?
অনেক স্বপ্ন ও ভালোলাগা নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণে হাত দিয়েছিলাম। তবে দুঃখের কথা হলো, অর্ধেক শুটিং শেষ করে এখন তা বাক্সবন্দি হয়ে পড়ে আছে। প্রযোজকের সঙ্গে বিভিন্ন কারণে ঝামেলা হয়েছিল। তাই আর ছবিটির শুটিং হচ্ছে না। আর হবে কি না, তাও জানি না।
শোবিজের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ
শোবিজকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
সাক্ষাৎকার: রবিউল কমল
Add Comment