Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 9:17 pm

বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানিতে ভিয়েতনামের অবস্থান ১৮, রপ্তানিতে ৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের পণ্য আমদানি বিবেচনায় ভিয়েতনামের অবস্থান ১৮, তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশটির অবস্থান ৪৪তম বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। গতকাল ডিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ সফররত ভিয়েতনামের সাত সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান। ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বাংলাদেশস্থ ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশের পণ্য আমদানি বিবেচনায় ভিয়েতনামের অবস্থান ১৮, তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশটির অবস্থান ৪৪তম।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে দুদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৩৯ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬৭৮ দশমিক ৬ ও ৬১ দশমিক ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। শিল্প খাতে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ভিয়েতনামের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। তিনি বাংলাদেশে ও ভিয়েতনামের ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়নে ঢাকা ও হ্যানয়ের মধ্যকার বিমান যোগাযোগ চালু করার প্রস্তাব করেন।

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের ভিয়েতনামে আরও বেশি হারে পণ্য রপ্তানির দিকে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনায় প্রতিনিধিদলের সদস্য বলেন, নির্মাণকাজে ব্যবহƒত পাথর, ক্লিংকার, খাদ্যজাত পণ্য, মসলা প্রভৃতি ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা যেতে পারে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্য এবং ওষুধ ভিয়েতনামে রপ্তানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এনকেএ মবিন, এফসিএস, এফসিএ, সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।