Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 12:29 am

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী মৌরিতানিয়া

 

 

 

নিজস্ব  প্রতিবেদক: মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহামেদ উল্ড শেখ এল ঘাজুওয়ানির কাছে মৌরিতানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন প্রত্যয়নপত্র পেশ করেছেন।

মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াকচটে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে গার্ড অব অনার-সংবলিত রাষ্ট্রাচারের মাধ্যমে প্রত্যয়নপত্র হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে মৌরিতানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। রাষ্ট্রাচার পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহামেদ উল্ড শেখ এল ঘাজুওয়ানি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণে অভিনন্দন জানান। সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত জুলকার নায়েন বিগত ১৫ বছরে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র বিশদভাবে তুলে ধরলে মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত আছেন বলে জানান। রাষ্ট্রপতি ঘাজুওয়ানি দুই দেশের মধ্যকার উন্নয়ন সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে অভিমত দেন।

রাষ্ট্রদূত জুলকার নায়েন এ বিষয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশ কার্যক্রম শুরু করেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মৌরিতানিয়ার কূটনৈতিক বছরব্যাপী স্নাতকোত্তর কোর্সে অংশগ্রহণ করছেন বলে প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন। মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ এবং মৌরিতানিয়ার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

বিগত তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে মৌরিতানিয়ায় রপ্তানির পরিমাণ ০.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে দ্বিগুণ হয়ে প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে মৌরিতানিয়ায় তৈরি পোশাক ও ওষুধ প্রধান রপ্তানি পণ্য হলেও ভবিষ্যতে এ দুটি’র পাশাপাশি অন্যান্য খাত যেমন-খেলনা, আসবাবপত্র, মাছ ধরা ট্রলার থেকে অধিকতর রপ্তানির ব্যাপারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা, শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ ও মৌরিতানিয়া সরকারের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।