ফেরার পার্ক হসপিটাল ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশি চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে আসা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের অন্যতম আধুনিক হেলথ কেয়ার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এই ফেরার পার্ক হসপিটাল (এফপিএইচ)। বাংলাদেশি চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে ২০১৬ সালে প্রথম বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশে নিয়ে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় মানুষ যেসব সাধারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে, সেগুলোর নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে এসেছিলেন হাসপাতালটির অবসটেটরিক অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ডা. সিন্ডি প্যাং। তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশি অর্থোপেডিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ মুশফিকুল সিদ্দিক।
সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এই সেশনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উদ্বোধনী বক্তৃতা দেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইমরুল আনোয়ার লিটন। দর্শক-শ্রোতা, কমিউনিটি ও চিকিৎসকদের বেশ সাড়া ছিল এ সেশনে। গত তিন বছর ধরে এফপিএইচের সঙ্গে বাংলাদেশি কমিউনিটির সুসম্পর্কেরই বহিঃপ্রকাশ এটি।
বাংলাদেশের প্রায় ৫০ শতাংশ নারী গর্ভকালীন ইউটেরিন ফাইব্রয়েডসে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ রোগের প্রধান চিকিৎসা সাধারণত সার্জারির মাধ্যমে হয়। এ রোগের চিকিৎসায় ফেরার পার্ক সম্প্রতি নতুন একটি প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে, যার মাধ্যমে আলট্রাসাউন্ড করানোর সময় তাপ ব্যবহার করে টিউমারগুলো ধ্বংস করে দেওয়া যায়। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে চিকিৎসাপদ্ধতি খুবই সহজ হয়ে যায়।
নারীরা সাধারণত যে ধরনের স্ত্রীরোগে ভোগে, সেসব বিষয় নিয়ে ডা. প্যাং তার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। ডা. সিদ্দিকের রয়েছে স্পাইন সার্জারি বিষয়ে বিশেষ অভিজ্ঞতা। ব্যাক পেইন সম্পর্কে তিনি তার অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন। এর সম্ভাব্য কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কেও তিনি জানান।
বাংলাদেশের মানুষের জন্য ফেরার পার্কে চমৎকার সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে বাংলাদেশি অতিথিদের জন্য রয়েছে কনসিয়ার্জ সার্ভিস, যাতে থাকছে বাঙালি খাবারের আয়োজন। এছাড়া বাংলাদেশিদের জন্য এফপিএইচ অনুমোদিত ভিসা এজেন্ট নিযুক্ত রয়েছে। তাদের মাধ্যমে ভ্রমণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব ধরনের সেবা দেবে এজেন্সিগুলো।
বাংলাদেশের সঙ্গে ফেরার পার্ক হসপিটালের বন্ধুত্ব
