কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখছে অনেক এসএমই শিল্প উপখাত। এখানে তাদের কয়েকটি তুলে ধরা হলো।
হস্তশিল্প
উল্লেখযোগ্য হস্তশিল্পের মধ্যে রয়েছে বাঁশ ও বেতের তৈরি নানা সামগ্রী, মৃৎশিল্প, কার্পেট প্রভৃতি। বাংলাদেশের হস্তশিল্প উপখাত মূলত পরিবারকেন্দ্রিক। আর এ খাতটিই কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। রফতানি সম্ভাবনা বিবেচনায় হস্তশিল্পজাত পণ্যের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল।
নবায়নযোগ্য শক্তি
নবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে রয়েছে সোলার পাওয়ার, উইন্ড মিল প্রভৃতি। বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে নবায়নযোগ্য শক্তি একটি সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। পল্লি অঞ্চলে বিদ্যুতায়নের জন্য এর উপখাতের বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে।
যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে
ভূমিকা রাখবে।
আইসিটি পণ্য ও আইসিটিভিত্তিক শিল্প
বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি গুণগত মানের কর্মসংস্থান সৃষ্টিও করছে এ উপখাতটি। দেশে প্রায় দুই হাজার তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সরকার এ উপখাতের উন্নয়ন, দক্ষ জনবল ও নতুন উদ্ভাবনী উদ্যোগ তৈরিতে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। রফতানি বাড়ানোর জন্য বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতকেও অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়ন, সারা দেশে হাইটেক পার্ক তৈরি, সফটওয়্যার রফতানি বাড়ানো, বিপিও খাতের উন্নয়ন, গেমস তৈরিসহ উদ্ভাবনী পণ্য তৈরির ওপর জোর দিয়েছে।
ফার্নিচার শিল্প
রফতানি সম্ভাবনা বিবেচনায় ফার্নিচার
শিল্প একটি প্রতিশ্রুতিশীল এসএমই উপখাত। এখানে কয়েক লাখ মানুষ কর্মরত। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশসহ ভারত, জাপান প্রভৃতি দেশে রফতানি হচ্ছে দেশীয় আসবাব। পণ্যের বৈচিত্র্য ও গুণগত মানের ওপর নির্ভর করে খাতটি আরও বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লিখিত উপখাত ছাড়া আরও রয়েছে ভেষজ ঔষধশিল্প, পলিমার উৎপাদনশিল্প, হাসপাতাল ও ক্লিনিকশিল্প, চা-শিল্প, হোম টেক্সটাইল, টিস্যু গ্রাফটিং, বায়োটেকনোলজি, জুয়েলারি, খেলনা,
প্রসাধনী, টয়লেট্রিজ প্রভৃতি।
তথ্যসূত্র: এসএমই ফাউন্ডেশন