ক্রীড়া প্রতিবেদক: প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে এসেছেন তিনি। তারকা খ্যাতিতে উজ্জ্বল হাশিম আমলাকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত বঙ্গবন্ধু বিপিএল কর্তারাও। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলতে এখন সিলেটে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ওপেনার।
বাংলাদেশে পা রেখে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুশফিকুর রহিমের প্রশংসায় মাতলেন আমলা। অবশ্য তার নেতৃত্বেই খেলবেন তিনি। আমলা বলেন, ‘মুশফিক দুর্দান্ত এক অধিনায়ক ও ক্রিকেটার। বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সে। আমাদের দলে সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞদের একজন। দুর্দান্ত খেলোয়াড়। আশা করি দুজনই নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেব।’
বিপিএলের মাঝপথে দলের সঙ্গে যোগ দিলেও মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন আমলা। তিনি বলেন, ‘দেখুন, মুশফিক তো আছে। ১০ বছর ধরে আমরা একে অপরের বিপক্ষে খেলেছি। কয়েক ম্যাচ খেলার পর সব সহজ লাগবে। লিগগুলোয় খেলতে গেলে দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয় দ্রুত।’
হঠাৎ করে ক্যারিয়ারের ইতি টানার প্রসঙ্গটাও উঠে আসে আলোচনায়। আমলার অবশ্য এ নিয়ে আক্ষেপ নেই। প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যান জানালেন, ‘অবসরের সিদ্ধান্তটা হুট করেই যে নিয়েছি, তা নয়। বিশ্বকাপের পর আমার কাছের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়েছে। আসলে আর কয়েকটি বছরই আছে আমার শরীরের। যে সময়গুলো আমি সতেজ থাকব। এ সময়কে আমার কাজে লাগাতে হবে। সবকিছুরই একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। একটি না একটি সময় আপনাকে কোথায়ও না কোথাও থামতে হবে। সবকিছুরই ভালো সময় আছে আর আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ভালো সময় কাটিয়েছি।’
বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো খেলতে আসা নিয়ে আমলা বলেন, ‘বাংলাদেশে আসতে বরাবরই খুব ভালো লাগে আমার। আগেও বেশ কবার এসেছি। এখানকার আবহ ভালো। ক্রিকেটীয় সংস্কৃতি দুর্দান্ত, মাঠ সব সময়ই প্রাণবন্ত থাকে। এখানে আসতে আগ্রহী ছিলাম। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর মধ্যে বিপিএল অন্যতম। এর আলাদা স্বাদ আছে। সে অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।’
ক্রিকেটে তার সাফল্যের পেছনে ধর্মচর্চার ভূমিকা আছে কি নাÑএ নিয়ে ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘অনেকেই জানতে চান ইসলাম কেমন, ক্রিকেটে ধর্ম কীভাবে সাহায্য করে। আমার কাছে প্রশ্নটি অদ্ভুত লাগে; কারণ সবাই নিজের জীবন সর্বোচ্চ পছন্দ করে। বাকি সবকিছু নিজের মতোই চলে। ক্রিকেটে সাহায্য করা বা না করার ব্যাপার এটি নয়। ধর্ম ক্রিকেটে সহায়তা করে বা করে নাÑএরকম কিছু আমার ভাবনায় আসে না। ক্রিকেটে সাহায্য করতে পারে বলেই ইসলামের নানা কিছু করতে হবেÑএরকম ভাবি না।’
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (৯২৮২) আমলা। দেশের হয়ে হাঁকিয়েছেন একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরি। শুধু সময়ের নয়, নিজ দেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের একজনও তিনি।