শেয়ার বিজ ডেস্ক : বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের নিরাপত্তা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে ফোন করে এ নিয়ে আলোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শারম্যান।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস গত ১৪ ডিসেম্বর (বুধবার) সকালে রাজধানীর শাহীনবাগে বিএনপির নিখোঁজ নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যান। তার সেখানে যাওয়ার পর বাসার সামনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের ব্যানার হাতে কিছু লোক অবস্থান নেন। তারা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে বিচারের নামে সামরিক ব্যক্তিদের হত্যার অভিযোগ করেন। ১৯৭৭ সালে সেই ঘটনার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর বাড়িতে যাওয়ার আহ্বান জানান। তাতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাড়া দেননি বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। সে সময় ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ চলে আসতে বাধ্য হন রাষ্ট্রদূত। পরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে কথা বলেন। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে এই টেলিফোন আলাপ হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতের ওই ফোনালাপের বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম টেলিফোনে মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শারম্যানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পারস্পরিক অগ্রাধিকারের বিষয়ে আলোচনা করেন। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে তারা কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা সনদের বিষয়ে পারস্পরিক অঙ্গীকারের বিষয়ে আলোচনা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শাহরিয়ার আলম এটা নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশে কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি টেলিফোনে মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন, রাষ্ট্রদূতরা বরাবরের মতো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেতে থাকবেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূতদের জনসমক্ষে বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফোনালাপকালে ওয়েন্ডি শারম্যান তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে নির্বাচনে বাংলাদেশের বিজয়ের জন্য তিনি প্রতিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তিনি আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরকে সমর্থন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।