বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতি করার অধিকার নেই

শেয়ার বিজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি হচ্ছে একটা সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে নেই। কারণ তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, আর তাদের রাজনীতি মানুষ হত্যায়। তাদের কি মানুষ চায়, বলেন? তাদের মানুষ চায় না। খবর: বাসস।

গতকাল শুক্রবার বিকালে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যখন জনগণের জন্য উন্নয়ন করি, তখন ওই বিএনপি-জামায়াত করে অগ্নিসন্ত্রাস। রেললাইনের ফিসপ্লেট ফেলে দিয়ে, বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার ফাঁদ পাতে। রেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। মা সন্তানকে বুকে জড়িয়ে রেখেছেÑএই অবস্থায় আগুনে পুড়ে কাঠ হয়ে গেছে। এই দৃশ্য পুরো বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়েছে। বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন, ঠিক ২০০১ সালে শুরু করেছিল। এরপর ১৩-১৪ একই ঘটনা ঘটায়। এখন আবার অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। আমি ধিক্কার জানাই বিএনপি-জামায়াতকে।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, সেই লক্ষ্যে এখানে উপস্থিত হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি যখন দায়িত্ব নেন, তখন মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ ডলার। তিনি দায়িত্ব নেয়ার তিন বছরের মধ্যে তা ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন। তিনি অসহায়দের জন্য অকাতরে সব বিলিয়ে দেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যা নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছিল। এরপর অবৈধভাবে জিয়া-এরশাদ ক্ষমতায় আসে। তারা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেনি। একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ উন্নয়নে দেশের সোনালি সময় ছিল। দুর্ভাগ্য, চক্রান্ত করে ২০০১ সালে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি। বরিশালে নেতাকর্মীদের যে নির্যাতন করা হয়েছিল, তা অবর্ণনীয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল ছিল মানুষের সবচেয়ে বড় অন্ধকার যুগ। বরিশাল থেকে ২৫ হাজার লোক গোপালগঞ্জে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। বিএনপির দুঃশাসনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করে আমাদের ক্ষমতায় রেখেছে। আজ ২০২৩ সাল, আমরা বদলে যাওয়া বাংলাদেশে। আজকে দুর্ভিক্ষ নেই, মঙ্গা নেই। যে মানুষ একবেলা খেতে পারত না, তারা তিন বেলা খেতে পারছে। বই বিনা মূল্যে বিতরণ করছি। অসহায়দের ভাতা দিচ্ছি। আজকে ১০ কোটি মানুষ উপকারভোগী। আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে শিল্পকলকারখানা চালিয়ে আসছি। ১০ টাকায় কৃষকরা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এক কোটি দুই লাখ কৃষক অ্যাকাউন্ট খুলে ভর্তুকির টাকা পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বরিশাল একসময় ছিল শস্যভাণ্ডার। আবার আমরা সেই ভাণ্ডারের সুনাম ফেরাতে সাইলো নির্মাণ করছি।

জনসভাকে কেন্দ্র করে বরিশাল উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়। বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে যোগদানের কথা থাকলেও সকাল থেকেই লাখ লাখ মানুষের ঢল নামে এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। রাতেও অনেকে আসেন আগে থাকতে। সকাল থেকেই ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ সেøাগানে এবং রঙিন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন হাতে, রঙিন টি-শার্ট, মাথায় ক্যাপ, সেøাগানে চারদিক মুখর করে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কর্মী ও সমর্থকদের অনুষ্ঠানস্থলের দিকে অগ্রসর হতে দেখা যায়। ঢোল ও নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পাশাপাশি জাতীয় ও দলীয় পতাকা ছিল হাতে হাতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনতা আশপাশের এলাকা, রাস্তাঘাট ও ফাঁকা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, অর্থাৎ নৌকার আদলে তৈরি মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনের আগেই শহরটি মানবসমুদ্রে পরিণত হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০