নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বর্তমানে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি রয়েছে মাত্র একটি। ২০২৫ সালের মধ্যে তা পাঁচটিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে আরও বিলিয়ন ডলার কোম্পানি তৈরি সম্ভব। এক সেমিনারে এমন মন্তব্য করেছেন অতিথিরা।
‘স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ-২০২০’ বাংলাদেশের উদ্বোধন হয় গতকাল। সেখানে এ কথা বলেন অতিথিরা। রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় দেশের মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নের বিকল্প নেই। তথ্যপ্রযুক্তি ও স্টার্টআপে সহায়তা দিতে সরকার বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে আরও বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ, পেগাসাস টেক ভেঞ্চারস এ জেনারেল পার্টনার ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিস উজ্জামান ও উদ্যোক্তা মুনীর হোসেন। অনুষ্ঠানে ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফর ডাবল ডিজিট গ্রোথ’ শীর্ষক সেশনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ই-জেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান।
সালমান এফ রহমান বলেন, জ্বালানি, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিগত ১১ বছরে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করেছে। তৈরি পোশাকশিল্পের পর তথ্যপ্রযুক্তিই হবে বাংলাদেশের পরবর্তী বড় খাত।
স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ-২০২০ যৌথভাবে আয়োজন করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইসিটি ডিভিশন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইকুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপের বাংলাদেশ আঞ্চলিক পর্বে দেড় শতাধিক স্টার্টআপ আবেদন করে। এর মধ্যে আঞ্চলিক চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়ার জন্য দেশের আটটি কোম্পানিকে নির্বাচিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, দেশে বর্তমানে এক দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম রয়েছে। এটিকে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সেমিনারে বলা হয়। এসব স্টার্টআপগুলোয় বর্তমানে প্রত্যেক্ষভাবে দেড় লাখ এবং পরোক্ষভাবে সাত লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।