Print Date & Time : 27 June 2025 Friday 10:51 am

বাংলাদেশে শনাক্ত রোগী লাখ ছাড়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রকোপ শুরুর ১০৩তম দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার খবর দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর এর মধ্য দিয়ে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের টালিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিশ্বে ১৭ নম্বরে থাকা কানাডাকেও ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮০৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২ হাজার ২৯২ জন হলো। আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩৮ জন মারা গেছেন গত এক দিনে। এ নিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩৪৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বৃহস্পতিবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরেন। কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ নিজেও এদিন বুলেটিনে যুক্ত ছিলেন।

আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাব দিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৯৭৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৪০ হাজার ১৬৪ জনে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তার ১০ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। প্রথম রোগী শনাক্তের ২৮ দিন পর ৬ এপ্রিল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০ ছাড়ায়। ১৪ এপ্রিল এক হাজার ছাড়ায় শনাক্ত রোগী। এরপর ৪ মে ১০ হাজার, ১৫ মে ২০ হাজার এবং ২ জুন ৫০ হাজার ছাড়িয়েছিল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। পরের ১৬ দিনেই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়াল।

বাংলাদেশে ১৮ মার্চ প্রথম কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০ এপ্রিল মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়ায়। ১০ জুন মৃতের সংখ্যা হাজারের ঘর পেরিয়ে যায়। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের টালি অনুযায়ী, সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত ৮৩ লাখ ৬২ হাজার কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৩ জন।

নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১৪ জন ঢাকা বিভাগের, দু’জন খুলনা বিভাগের এবং একজন বরিশাল বিভাগের, একজন ময়মনসিংহ বিভাগের ও একজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

মৃত ৩৮ জনের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া দু’জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১৪ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ১০ বছরের নিচে ছিল।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৫৯টি ল্যাবে ১৬ হাজার ২৫৯টি পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৩টি নমুনা। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ২৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৯ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।