নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশকে নিজের ‘সেকেন্ড হোম’ বা দ্বিতীয় নিবাস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। বাংলাদেশ আর ভুটানের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য আছে বলেও মন্তব্য করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। গতকাল জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন লোটে।
সম্মানিত অতিথির বক্তৃতাকালে লোটে শেরিং বলেন, বাংলাদেশকে আমার সেকেন্ড হোম মনে হয়। দু’দেশের মধ্যে অনেক মিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে বলেছেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়।’ আমাদের দেশের রাজাও বলেছিলেন, সবার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের কথা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রশংসা করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নেতা হিসেবে পেয়ে এ দেশের মানুষ সত্যিই ভাগ্যবান। আমার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও তাকে নিয়ে গর্ববোধ করতেন। তিনি এবং তার দল যে দক্ষতার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এই করোনার মধ্যেও দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ জিডিপি বাংলাদেশের। এগুলো জেনে আমাদের সত্যিই আনন্দ অনুভূত হয়।
এছাড়াও নিজ বক্তব্যে কয়েক দফা বাংলায় শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাংলাদেশ ও এদেশের জনগণের প্রশংসা করেন তিনি। একই সঙ্গে উভয় দেশ ও দেশের জনগণের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন ডা. লোটে শেরিং।
উল্লেখ্য, ডা. লোটে শেরিং বাংলাদেশে চিকিৎসা শ্বাস্ত্রে অধ্যায়ন করেছেন। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তীতে নিজ দেশে চিকিৎসা প্রদান শুরু করেন। রাজনীতিতে আমার কয়েক বছরের মাথায় তার দল সরকার গঠনে সক্ষম হয়।