Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 12:39 pm

বাংলাদেশ-ইইউ কূটনৈতিক আলোচনা গুরুত্ব পেয়েছে অভিবাসন ইস্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক আলোচনা শেষ হয়েছে। সম্প্রতি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে উভয় পক্ষ নিজ নিজ স্বার্থে অস্ত্র বাদে সব কিছুসহ (ইভিএ) বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেছে। এতে উভয় পক্ষ ‘অনিয়মিত অভিবাসনের’ হুমকির বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে একটি ক্যাম্পেইন চালানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। এছাড়া অনিয়মিত অভিবাসীদের দেশে ফেরাতে মানানসই ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে কাজ করে যেতে রাজি হয়েছে।
গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে এসব বিষয় জানানো হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় দফা ইইউ-বাংলাদেশ কূটনৈতিক আলোচনা। এতে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক। বিপরীত দিকে ছিলেন সংস্থাটির এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গানার ওয়েগ।
বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় পক্ষের রাজনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে ইইউর বৈশ্বিক কৌশল, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি অস্ত্র বাদে সবকিছু (ইভিএ) নিয়ে আলোচনা হয়। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রয়োজন বিষয়াবলির মধ্যে ইইউ ও বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাব্য উপায় অনুসন্ধান নিয়েও কথা হয়। এর মধ্যে রয়েছে যোগাযোগ, অভিবাসন, শান্তি ও নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ ও এজেন্ডা-২০৩০।
পক্ষদ্বয় এ মাসের শেষে ঢাকায় অনিয়মিত অভিবাসনের ঝুঁকি মোকাবিলায় একটি কর্মশালার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্যাম্পেইন করবে বলে জানিয়েছে। এ পরিপ্রক্ষিতে তারা অনিয়মিতভাবে ইউরোপে পৌঁছা অভিবাসীদের বিষয়ে একটা মানানসই ব্যবস্থা তৈরির বিষয়ে একমত হয়েছে। অনিয়মিত অভিবাসীদের ইইউ অঞ্চলে থাকার কোনো অধিকার থাকবে না এমন বিধান করার কথা বলা হয়।
একই সঙ্গে হরাইজন-২০২০ উদ্যোগের আওতায় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও মহাকাশ গবেষণায় সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া উভয় পক্ষের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়। দুই পক্ষের মধ্যে এ-সংক্রান্ত তৃতীয় দফা আলোচনা হবে আগামী বছর ঢাকায়।