নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ বা এক টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১২ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২ টাকায় লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩৩৬টি শেয়ার মোট ৪০৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ১ লাখ টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের এ কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি ৬৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের ঘাটতির পরিমাণ এক হাজার ১৭৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১০ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪০ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে গ্লোবাল হেভী কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ বা ২ টাকা ৮ পয়সা বেড়ে থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৩১ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫১৮টি শেয়ার মোট ৩৯৪ বার হাতবদল হয়। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৯ টাকা ৭০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ৩১ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২১ টাকা ৫০ থেকে ৩৫ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৭৭ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৮৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা (লোকসান)।কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৭ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৬৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫০ পয়সা (লোকসান)। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২০ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৪৬ পয়সা।
২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে আসা ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৭২ কোটি টাকা। রিজার্ভে আছে ১৬৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা সাত কোটি ২০ লাখ। মোট শেয়ারের মধ্যে ৬৮ দশমিক ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, ১৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক এবং ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।