প্রতিনিধি, বাকৃবি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অভ্যন্তরের একটি দুই লেনের রাস্তাকে চার লেনের রাস্তায় রূপান্তরিত করার কাজ চলমান। নতুন করে রাস্তা নির্মাণের জন্য ওই রাস্তার একপাশের সকল গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভিতর দিয়ে চার লেনের রাস্তা নির্মাণের প্রকল্প বন্ধের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বাকৃবি শাখা।
রবিবার (৯ জুন) দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বাকৃবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় রায়ের সঞ্চালনায় ও সভাপতি রিফা সজিদার সভাপতিত্বে ওই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাকৃবি শাখার গ্রন্থাগার বিষয়ক সম্পাদক পুষ্পিতা ভট্টাচার্য, বিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আল জাবের।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ক্যাম্পাসে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে অপরিকল্পিতভাবে অসংখ্য গাছ কাটা হয়েছে। এভাবে অপরিকল্পিত বৃক্ষ নিধন ক্যাম্পাসের সামগ্রিক পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। যেখানে সারা পৃথিবীতে সবুজায়ন নীতি গ্রহণের দাবী উঠছে, সেখানে দেশের কৃষি শিক্ষার অন্যতম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বিচার বৃক্ষ নিধন চলছে।
উন্নয়নের এই ব্যাখ্যার সাথে দ্বিমত জানিয়ে বক্তারা বলেন, উন্নয়ন শুধু ভবণ নির্মানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এই উন্নয়ন ক্যাম্পাসের সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশ ও গবেষণা, গণতান্ত্রিক চর্চা ও শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জীবন মান বৃদ্ধির সাথে যুক্ত।
উন্নয়নের নামে বৃক্ষ নিধনের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বরং বিকল্প পরিকল্পনা কি হতে পারে তা গ্রহণের দাবী জানানো হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকিকে বিবেচনায় না নিয়ে, শিক্ষা কার্যক্রমের পরিবেশকে গুরুত্বে না নিয়ে চার লেনের রাস্তা নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যা বাস্তবায়নের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনগুলোর কোন মতামত গ্রহণ করা হয়নি।
একরকম অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্মাণাধীন এই প্রকল্প বাতিলের দাবি জানান বক্তারা। এছাড়াও মানবনন্ধনে সারাদেশে অর্থ মন্ত্রনালয় কর্তৃক জারীকৃত অগণতান্ত্রিক ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ এর বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনে সংহতি জানানো হয়।