ক্যানসার রোগীদের পাশে থাকতে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্যানসার এইড ট্রাস্ট (ব্যানক্যাট)। ৭ ডিসেম্বর এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্যানসার আক্রান্ত ১০ বছর বয়সি শিশু সাদিয়ার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা কামনা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত নানা চিত্রকর্ম বিক্রির অর্থ দিয়ে ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য তহবিল গঠন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্যানসার এইড ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, ব্যানক্যাটের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি নাজমুস আহমেদ আলবাব, জয়েন্ট ট্রেজারার জিসান হাসিব, ট্রাস্টি রুমানা আহমেদ, সারওয়াত সিরাজ, সাবরিনা শহীদ হাফিজ, মাহজাবীন ফেরদৌস, ব্রাজিলিয়ান রাষ্ট্রদূত হোয়াও তাবাজারা ডি অলিভেইরা জুনিয়র ও গোল্ডেন হারভেস্টের ডিরেক্টর ও সিআরপি’র ফাউন্ডিং ট্রাস্টি মাকসুদ আহমেদ খান।
রোকেয়া আফজাল রহমান বলেন, মানুষকে যেসব রোগ তুলনামূলকভাবে বেশি ভোগায়, সেগুলোর মধ্যে ক্যানসার সবচেয়ে ভীতিকর। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে সঠিক চিকিৎসায় এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর এ বিষয়টিকে সামনে রেখে আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সুবিধার নাগালের বাইরের মানুষদের ক্যানসারবিষয়ক পরামর্শ ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চাই। তিনি ব্যানক্যাটের এ উদ্যোগের সঙ্গে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
নাজমুস আহমেদ আলবাব বলেন, আমি নিজেও ক্যানসারের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছি প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করার পর। তাই সুস্থ হয়ে দেশে আসার পর আমার মনে হয়েছে, আমি তো ফিরে এসেছি ক্যানসারের ভয়াল থাবা থেকে, কিন্তু দেশের অবহেলিত অনেক মানুষ কীভাবে এ রোগের বিরুদ্ধে লড়বে। এ চিন্তা থেকেই এ ফাউন্ডেশনের সূচনা।
মাকসুদ আহমেদ খান বলেন, আমি খুবই আনন্দিত এমন একটি মহৎ উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে। সামনের দিনগুলোতে এ প্রয়াসকে আরও বেগবান করতে আমাদের সবাইকে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ ক্যানসার এইড ট্রাস্ট বাংলাদেশ ক্যানসার এইড ফাউন্ডেশন নামে পরিচিত। মূলত রোগটির বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করে সেসব সাহসী মনের মানুষদের সাহায্যের জন্য এ ট্রাস্ট বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করবে বাংলাদেশ ক্যানসার এইড ট্রাস্ট (বিএএনসিএটি)। এ সংগঠনের উদ্দেশ্য শুধু একটি সংগঠন তৈরি করাই নয়, এমন একটি সমাজ তৈরি করা যাতে রোগী ও তার পরিবারকে অনুপ্রেরণা দেওয়া যায়। ব্যানক্যাট সচেতনতা তৈরি করবে। উপস্থিত রোগীদের ইতিবাচক জীবনযাপনে উৎসাহ দেবে।
বাংলাদেশ ক্যানসার এইড ট্রাস্ট তিনটি মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেয়। প্রথমটি হচ্ছে কেয়ার। কোনো ব্যক্তি ক্যানসারে আক্রান্ত হলে তিনি ও তার পরিবারসহ বন্ধুদের জন্য জীবন বদলে যায়। ট্রাস্ট তাদের যতœ নেবে। দ্বিতীয়টি হলো শক্তি। এটি আত্মবিশ্বাস ধ্বংস করতে পারে না। আরেকটি হচ্ছে আশা। আশা সন্দেহ ও ভয় কমায়।