বাংলাদেশ নিয়ে অন্যদের বাড়াবাড়ির সুযোগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে অন্যদের বাড়াবাড়ি করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রোববার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অর্জন-সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সংলাপে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘অনেকে হয়তো ভুলে গেছে, তাদের স্মরণ করে দেওয়ার দরকার যে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য, মানবাধিকার ও ন্যয় সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। বাংলাদেশের অর্জন ও ইতিহাস সবাইকে জানানোর সময় হয়েছে। মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে এ ধরনের অর্জন বিনা বুলেটে কোথাও পাবেন না।‘

যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরা শক্তিশালী দেশ। আমাকে এমনভাবে চলতে হবে, যাতে করে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত উন্নত হয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী এবং রফতানি বাজার। ওই দেশের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। তারা বন্ধু না হলে কিছু বলতো না, বরং আক্রমণ করতো। বন্ধু বলেই অনেক সুপারিশ দেয়। ভালো সুপারিশ আমরা গ্রহণ করবো। সবকিছুতে আমরা ভালো হয়ে গেছি, বিষয়টি সেরকমও নয়।‘

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কে সোনালি অধ্যায় চলছে। ভারত এ বছর জি-২০ এর প্রেসিডেন্ট হয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শুধু বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে অতিথি হিসেবে।’

চীনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন আমাদের বড় উন্নয়ন অংশীদার এবং তার সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য অনেক বেশি।’ চীনও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী বলে জানান মন্ত্রী।

‘ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা সহজ নয়’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বড় দেশগুলো ছাড়াও অনেক দেশ আছে, যাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে। রাশিয়া, সৌদি আরব, আসিয়ান জোট, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থ রয়েছে এবং আমরা তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলি।’

সংলাপের বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র নীতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। আমরা ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি রক্ষা করে চলেছি। আমাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পররাষ্ট্রনীতি একযোগে সমন্বয় করে দেশ এগিয়ে চলছে। আমরা যে অগ্রগতি করছি, সেটা বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ। আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান লিটু ও অধ্যাপক ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. এ এস এম আলী আশরাফ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০