Print Date & Time : 28 June 2025 Saturday 2:22 pm

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ঋণমান ‘এএ মাইনাস’ ও ‘এসটি-২’

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিমা খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’। আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে দুই টাকা ২৩ পয়সা, আর ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা পাঁচ পয়সা।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর এক শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৯ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৯ টাকা ৮০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৩৬টি শেয়ার মোট এক হাজার ৯১ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর পাঁচ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩১ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩২ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।

বিমা খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪০ কোটি চার লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫০ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য আট শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৯ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৯ পয়সা। প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২০) ইপিএস হয়েছে ৭৫ পয়সা, আগের বছরে ছিল ৯৩ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৮০ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১৯ টাকা পাঁচ পয়সা।