নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডের (বিডি ফাইন্যান্স) ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফারেটিং)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ’। আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২৪ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৮৮ কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৭টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ০৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫৪ দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৩ লাখ ৫১ হাজার ২০৭ শেয়ার ৩৭৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ১৯ টাকা থেকে ২০ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৪ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে বা প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের।
কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ২৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধে বা প্রথম দুই প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ৯ পয়সা। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৪ পয়সা। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস কমেছে ১ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮৫ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৪ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮২ পয়সা।
এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৬০ পয়সা (লোকসান) এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৫৩ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ১ টাকা ৩৫ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৪১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬৬ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬ শতাংশ নগদ ও ৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৫৮ পয়সা।