নিজস্ব প্রতিবেদক
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৮৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৭৭ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় যথাক্রমে এক টাকা ৮৩ পয়সা ও ১৬ টাকা ৪১ পয়সা ছিল। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ মে বেলা ১১টায় রাজধানীর দিলকুশাতে অবস্থিত বিসিআইসি অডিটোরিয়ামে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ মে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৩৭ শতাংশ বা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৫ টাকা। দিনজুড়ে সাত লাখ ১৭ হাজার ৭৩১টি শেয়ার মোট ৩৮১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি সাত লাখ সাত হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ১২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২১ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।
গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে দুই টাকা এক পয়সা ও এনএভি ১৬ টাকা ৪১ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৩২ পয়সা ও ১৫ টাকা ৯৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৭ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ১৬ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৫২ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৭৪ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৫ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৬৪৪টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৫৩ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা তিন পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা চার পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২০ মে বেলা ১১টায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের বাঙ্কুয়েট হলে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ এপ্রিল।
কোম্পানিটি ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৮৯ পয়সা ও এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৫১ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৩৫ কোটি তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা। ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১০ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১০ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ছয় লাখ ৪৯ হাজার ৮১০টি শেয়ার মোট ১৬১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এক বছরে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়।
এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৮৪ কোটি ৯ লাখ ৯০ হজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৯২ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৭৮ কোটি ৪০ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪১টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে চার দশমিক ৩১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৫ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
