বাংলাদেশের অন্যতম প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান সিস্টেমস সল্যুশনস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস লিমিটেড (এসএসডি-টেক) ‘বাংলাদেশ বেস্ট এমপ্লয়্যার ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’ অর্জন করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে আয়োজিত অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এসএসডি-টেকের হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস আলেয়া পারভিন লীনা অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন।
আহমেদাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের সাবেক ডিন ড. ইন্দিরা পারিখের সভাপতিত্বে পরিচালিত ‘বাংলাদেশ বেস্ট এমপ্লয়ার ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’ এইচআরে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন ও হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে মার্কেটিং কমিউনিকেশনকে সফলভাবে কার্যকরের জন্য বাংলাদেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্যক্রম গ্লোবাল এমপ্লয়্যার ব্র্যান্ডসের অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেস্ট এমপ্লয়ার ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
এসএসডি-টেকের হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস আলেয়া পারভীন লীনা বলেন, যে কোনো স্বীকৃতি কাজের আনন্দকে দ্বিগুণ করে দেয়। এটি আসলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিরামহীন প্রচেষ্টার স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতির অংশীদার এসএসডি-টেক পরিবারের প্রতিটি সদস্য। এসএসডি-টেক একটি ভ্যালু ড্রাইভেন অর্গানাইজেশন। এখানে সব টিম মেম্বারের প্রতিভার উন্নয়ন ও যতœ নেওয়াকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আমরা মনে করি, এখানে কেউ চাকরি করতে আসে না, স্বপ্ন দেখতে ও বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে আসে।
এসএসডি টেক
এসএসডি-টেক বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন সেক্টর ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে টেকনোলজিক্যাল সমাধান দিয়ে আসছে। তারা প্রধান পাঁচটি মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিকেও ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম সুবিধা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাফল্যের সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, যাদের কার্নিভাল নামে একটি আইএসপিও রয়েছে।
২০০৪ সালে যাত্রার পর থেকে এসএসডি-টেক ছোট-বড় উদ্যোগ, ব্যাংকিং, নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন ও টেলিকম অপারেটরদের জন্য সেরা মানের সল্যুশনে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আসছে। দেশে কয়েক বছর সাফল্যের সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনার পর ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করে।