ক্রীড়া ডেস্ক: ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর কেটে গেছে অনেকটা সময়। কিন্তু অধরাই ছিল বাংলাদেশের ভারত সফর। শেষ পর্যন্ত পরশু একমাত্র টেস্ট খেলতে প্রতিবেশী দেশটিতে পা রেখেছেন মুশফিকুর রহিমরা। ঢাকা থেকে প্রথমে কলকাতা। তারপর টাইগাররা গেছে
সিরিজের একমাত্র টেস্ট ভেন্যু
হায়দরাবাদে। যেখানে আগামী বৃহস্পতিবার হবে ম্যাচটি। এরই মধ্যে এই ম্যাচটিকে সবাই
বলতে শুরু করে দিয়েছেন ‘ঐতিহাসিক’ টেস্ট। এবার হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা (এইচসিএ) প্রতিবেশী দুই দেশের টেস্ট উপলক্ষে ফিরে
যেতে চাইছে পুরোনো এক ঐতিহ্যে। প্রকাশ করবে বিশেষ স্মরণিকা।
কমনওয়েলথভুক্ত কোনো ক্রিকেট দল হায়দরাবাদে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে
গেলে এইচসিএ একটি স্মরণিকা প্রকাশ করতো। নব্বই দশকের শুরুর দিকে এসে তা
থেমে যায়। তবে আবারও সংস্থাটি সে ঐতিহ্যকে জাগিয়ে তুলতে চাইছে। এরই মধ্যে
বাংলাদেশ-ভারত একমাত্র টেস্টকে উপলক্ষ করে স্মরণিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে এক ম্যাচের এই সফরটির স্মৃতি অন্তত বইয়ের পাতায় থেকে যাবে।
সংস্থাটি (এইচসিএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার বর্তমান নির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর পুরো ঐতিহ্যকে আবারও জাগিয়ে তোলা। ভারতে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম ঐতিহাসিক এই টেস্ট স্মরণীয় করে রাখতে আমরা একটি স্মরণিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছি।’
এই ঐতিহ্য যে কত পুরোনো, সেটিও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে, ‘ভারতে প্রথম যে কমনওয়েলথ দলটি সফরে এসেছিল, এইচসিএ তখন সে ম্যাচের আয়োজন করে। সেকান্দারাবাদ
জিমখানা মাঠে ম্যাচটি হয়েছিল। তখন থেকেই ম্যাচ উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নব্বই দশকের শুরু পর্যন্ত সেই
রেওয়াজ ছিল। যখন বিদেশি কোনো দল ভারতে এসেছে, বিসিসিআই তখনই একটি ম্যাচ হায়দরাবাদকে দিয়েছে, এইচসিএ সে উপলক্ষে স্মরণিকা প্রকাশ করেছিল।’
এবার এইচসিএ’র স্মরণিকাতে লিখবেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলের ম্যানেজার পিআর মানসিং। আব্বাস আলী বেগ, মহিন্দর অমরনাথ, ভিভিএস লক্ষ্মণ, ভেংকটরাঘবন, সৈয়দ কিরমানির মতো সাবেক প্রখ্যাত ক্রিকেটারদের পাশাপাশি হার্শা ভোগলে, সুরেশ মেননের মতো ক্রিকেটব্যক্তিত্বরাও লিখবেন। সঙ্গে থাকবে বাংলাদেশ-ভারত দ্বৈরথ নিয়ে নানা পরিসংখ্যান, ছবি ও কার্টুন। যে কারণে সবাই এ স্মরণিকাটি সংগ্রহে রাখতে চাইবেন নিশ্চয়ই।
আগামী বৃহস্পতিবার সিরিজের একমাত্র টেস্টে ভারতের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ।
তার আগে এই হায়দরাবাদ দিচ্ছে মুশফিকুর রহিমদের অন্যরকম প্রেরণা। কেননা,
ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ এখানেই জিতেছিল
টাইগাররা। ১৯৯৮ সালের মে মাসে ত্রিদেশীয় সিরিজে কেনিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিলেন আকরাম খানরা। ওই সিরিজের অন্য দলটি ছিল ভারত। প্রায় প্রতিটি ম্যাচই ভালো ক্রিকেট খেলেছিল লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। তবে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচটি সেই লালবাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামে হচ্ছে না। হবে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে। তাতে অবশ্য কিছু এসে-যায় না। ম্যাচটা তো ঠিকই হায়দরাবাদে হচ্ছে। এটাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হয়ে
দেখা দিয়েছে সফরকারী দলের মধ্যে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এইচসিএ বিশেষ স্মরণিকা।
Add Comment