শেয়ার বিজ ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভারতে সহযোগিতা কামনা করে বলেন, সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এমন সব পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তিনি আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের ব্যাপক অবকাঠানো ডিজাইনসহ খাতভিত্তিক আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিনির্ভর ডেটাচালিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর দেন। এসব ক্ষেত্রগুলোয় একে অপরকে সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে যোগাযোগের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে বিশ্বব্যাংকের এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: এ ভিশন ফর ইফিসিয়েন্ট, ট্রান্সপারেন্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবল ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ভারতের ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি মাস্টারপ্ল্যান’ একটি চমৎকার উদ্যোগ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এ মাস্টারপ্ল্যান বুঝতে হবে এবং এ ব্যাপারে সহযোগিতামূলক পদ্ধতি ও উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী পলক সহযোগিতামূলক সম্পর্কের প্রসার ও উদ্যোগ গ্রহণে চারটি প্রস্তাব করেন। প্রথমত, ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি’-এর নীতি কাঠামো সম্পর্কে জানার সুযোগ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর; দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজšে§র মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা ও পেশাজীবীদের ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি মাস্টারপ্ল্যান’-এর ওপর প্রশিক্ষণদানে স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমিকে (এসএলএ) যুক্ত করা; তৃতীয়ত, দুই দেশের মধ্যে প্রকল্প রয়েছে এবং এতে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তির প্রথম আন্তর্জাতিক আউটরিচ হতে পারে বাংলাদেশ। চতুর্থত, আইসিটি বিভাগের সচিব, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক ও ইডিজিই প্রকল্প পরিচালকের সমন্বয়ে একটি টিম সহযোগিতামূলক ক্ষেত্র চিহ্নিত করে কীভাবে কাজ দ্রুত শুরু করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করবে।
বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল সেক্রেটারি সুমিতা দেওরা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাইদ মো. কামরুজ্জামান, ইডিজিই প্রকল্পের পরামর্শক এনামুল কবির এবং আর্কিটেক্ট হাসান উজ্জামান।
