বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট চুক্তি সই

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরস্পরের ভূমি ব্যবহার করে বাণিজ্য জোরদারের লক্ষ্য নিয়ে ট্রানজিট চুক্তিতে সই করল বাংলাদেশ ও ভুটান। ফলে বাংলাদেশের জল, স্থল ও আকাশপথ ব্যবহার করে ভুটান নির্ধারিত ফি দিয়ে তৃতীয় দেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য করতে পারবে। আর ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে ভুটানের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ হলে তখন এ ট্রানজিট সুবিধায় ভুটানের ভেতর দিয়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারবে বাংলাদেশ।

গতকাল বুধবার ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে ‘প্রটোকল অব দ্য এগ্রিমেন্ট অন দ্য মুভমেন্ট অব ট্রাফিক ইন ট্রানজিট বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ভুটান’ শিরোনামে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভুটানের পক্ষে দেশটির শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী কার্মা দরজি চুক্তিতে সই করেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ চুক্তির ফলে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজতর হবে বলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালকে নিয়ে চার দেশীয় মোটরযান চলাচল চুক্তি (বিবিআইএন) থেকে ভুটান সরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের কাছে দ্বিপক্ষীয় ট্রানজিট চুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ট্রানজিট চুক্তির খসড়া ও প্রটোকল চূড়ান্ত করা হয়।

এরপর মন্ত্রিসভার সর্বশেষ বৈঠকে ভুটানের সঙ্গে এ ট্রানজিট চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দেয় সরকার। সেই চুক্তিই গতকাল স্বাক্ষরিত হলো। ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বা পিটিএ সই করে বাংলাদেশ। ওই চুক্তির আওতায় দুই দেশের বেশ কয়েকটি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার কথা।

২০০৮-০৯ অর্থবছরে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ক্রমান্বয় বেড়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৭ দশমিক ৯০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।

বাংলাদেশ থেকে ভুটানে মূলত তৈরি পোশাক, খাদ্যসামগ্রী, প্লাস্টিক, ওষুধ, গৃহসজ্জা সামগ্রী ও বৈদ্যুতিক পণ্য রপ্তানি হয়। ভুটান থেকে বাংলাদেশ সবজি ও ফলমূল, খনিজ দ্রব্য, নির্মাণসামগ্রী, বোল্ডার পাথর, পাল্প ও রাসায়নিক দ্রব্য আমদানি করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০