নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকমিউনিকেশন খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লস পিএলসি পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
৩০ জুন ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ১০ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৩ টাকা ৬ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৭ টাকা ৬৩ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ নভেম্বর।
৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৫১ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ১৯ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকা ৫ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৬৮ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ৯১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৪ টাকা ৬৬ পয়সা।
এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ৭৬ পয়সা। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৫৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৪৯ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ১৮ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৮৭ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ১৬৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৮ কোটি ৭০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৩ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৭৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ, বিদেশি দুই দশমিক ১০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ৬ টাকা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩০ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৫৭ হাজার ৩৯১ শেয়ার মোট ৫৪২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৬ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৯৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২১৮ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
