বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লের শেয়ার ইস্যুতে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লের শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদর করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির ২২৯তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। ‘আঞ্চলিক সাবমেরিন টেলিকমিউনিকেশনস প্রজেক্ট’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সরকার থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৪০ কোটি টাকা এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২৬ কোটি টাকা, অর্থাৎ এই ১৬৬ কোটি টাকা সরকারি ইক্যুইটির বিপরীতে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লস পিএলসির প্রতিটি শেয়ার ৭৫ টাকা দরে (৬৫ টাকা অধিহারসহ) ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সর্বমোট দুই কোটি ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩টি সম-অধিকারযুক্ত সাধারণ শেয়ার বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবের অনুকূলে ইস্যু করা হবে। বিএসইসির নির্দেশনা মোতাবেক অদ্য ইস্যুকৃত শেয়ারগুলো আগামী তিন বছর লক ইন অবস্থায় থাকবে।

এছাড়া ওই সভায় সরকারি ইক্যুইটি হিসেবে গৃহীত ১৬৬ কোটি টাকা থেকে ২২ কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩০ টাকা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনে ১৪৩ কোটি ৮৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪৫ টাকা কোম্পানির শেয়ার অধিহার হিসাব ও অবশিষ্ট ২৫ কোটি টাকা পরবর্তী সময়ে সমন্বয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর ফলে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৬৪ কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮৭ কোটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩০ টাকায় উন্নীত হবে।
এদিকে সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) বিএসসিপিএলসির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ২০ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১২ টাকা ৭০ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯২ টাকা ১৬ পয়সায়।

২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিএসসিপিএলসির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৬৪ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৫ হাজার ৫১০। এর মধ্যে সরকারের কাছে রয়েছে ৭৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৭২, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ দশমিক ৭০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৫১ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ১৯ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকা ০৫ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৬৮ পয়সা।

এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ৯১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৪ টাকা ৬৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ৭৬ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০