নিজস্ব প্রতিবেদক: কিছু সংশোধনীসহ আয়কর অধ্যাদেশ সহজ করে বাংলা ভাষায় প্রণীত নতুন আয়কর আইনের খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অংশীজনদের মতামতের জন্য প্রস্তাবিত খসড়াটি এনবিআরের ওয়েবসাইটে (িি.িহনৎ.মড়া.নফ) আপলোড করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচার রাজস্ব ভবন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত অংশীজনদের পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ১০০ বছরের পুরোনো আয়কর অধ্যাদেশটিকে যুগোপযোগী ও সহজীকরণ করে আইনে রূপান্তরের জন্য খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। অধ্যাদেশটিতে অনেক ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা এবং দুর্বোধ্যতা ছিল। এবার একে বাংলা ভাষায় সহজবোধ্য করে আইনে রূপান্তর করা হয়েছে।
মুনিম বলেন, আগের আইনে কোনো একটা বিষয় বোঝার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা লাগত। এখন আইনটির একই বিষয়ের সব বিধান একই জায়গায় সন্বিবেশ করা হয়েছে। এতে আইনটির বিধানাবলি পরিপালন অনেক সহজ হবে, যোগ করেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আইনটির খসড়াটি চূড়ান্তভাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপস্থাপনের আগে অংশীজনদের সঙ্গে কর্মশালা ও সেমিনার করা হবে। পাশাপাশি আইনের খসড়ার বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া হবে।
এনবিআর (আয়কর নীতি) সদস্য মো. আলমগীর হোসেন এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এখন আয়কর আইনটিতে ব্যাংক হিসেবে স্বয়ংক্রিয় কর প্রত্যাবর্তনের (রিফান্ড) বিধান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত কর পরিশোধ করলে তা সরাসরি ব্যাংক হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেরত দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে করদাতার জন্য ই-কর ব্যবস্থাপনা বিধানও আইনের খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করদাতাদের অফিসের আসার দুর্ভোগ পোহানো থেকে রেহাই পাওয়ার পাশাপাশি সময় ও খরচও কমে যাবে বলে জানান তিনি।