নিজস্ব প্রতিবেদক: কুইক রেসপন্স (কিউআর) কোডভিত্তিক পরিশোধ নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কিউআরের ব্যবহারবিধি, লেনদেন নিষ্পত্তি, ফি ও চার্জ নির্ধারণের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এর আওতায় ব্যাংক হিসাব; ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রি-পেইড কার্ড; মোবাইল ব্যাংকিং (এমএফএস) এবং ই-ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলা কিউআর কোর্ড ব্যবহার করে সব ধরনের লেনদেন করা সম্ভব হবে। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, স্বল্প ব্যয়ের এ প্রযুক্তিটি ব্যবসায়ীদের ব্যয় কমাতে সহায়ক হবে। সেইসঙ্গে এটি ছোট থেকে বড় সব ব্যবসায়ীকে ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমের আওতায় আনতে সক্ষম হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সম্প্রতি দেশে কিউআর কোডভিত্তিক পরিশোধ সেবার ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন সহজ ও সাশ্রয়ী হওয়ায় এর বহুল ব্যবহার দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম আরও গতিশীল করবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন ইন্টার-অপারেবল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ন্যাশনাল কিউআর কোড স্ট্যান্ডার্ড ফর রিটেইল পেমেন্টস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে বাংলা কিউআরের কাঠামো প্রস্তুত করেছে। এ কাঠামো অনুযায়ী দেশের অভ্যন্তরে পরিচালিত বাংলা কিউআরের ব্যবহারবিধি, লেনদেন নিষ্পত্তি, ফি ও চার্জ নির্ধারণ প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা-সংবলিত বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক পরিশোধ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা সব বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় হবে। এছাড়া কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান নির্বিশেষে সবাইকে এ নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। তবে এরই মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান নন-ইএমভিসিও স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে কিউআর কোডভিত্তিক পরিশোধ সেবা চালু করেছে, তাদের ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বিদ্যমান প্রোপ্রাইটারি কিউআরকে বাংলা কিউআর দ্বারা প্রতিস্থাপন করতে হবে।
বাংলা কিউআরভিত্তিক আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক লেনদেন দেশে কার্যরত সব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোনো লেনদেনের সীমা নির্ধারণ করবে। তবে স্টাটিক বাংলা কিউআরভিত্তিক লেনদেনের জন্য একক ব্যক্তির হিসাবে দৈনিক লেনদেনের সীমা হবে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা। বাংলা কিউআরভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ধার্যকৃত ফি ও চার্জ প্রযোজ্য হবে। এ সেবা প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ব্যাংক, মোবাইল আর্থিক পরিষেবা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান, পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর (পিএসও) ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেবে।