Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 5:36 am

বাইক চালাতে হবে সতর্কতার সঙ্গে

যাতায়াতের সবচেয়ে সহজ ও দ্রুত মাধ্যম হচ্ছে মোটরসাইকেল। সব দেশেই মোটরসাইকেল একটি অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার সহজ মাধ্যম। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি দুর্ঘটনার মধ্যে কম বেশ মোটরসাইকেলের জড়িয়ে আছে। যত দিন বাড়ছে তত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে। এটি দ্বিগুণ আকারে দেখা যায় যখন ঈদ আসে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখা যায় ঈদের আগে ও পরের কয়েকদিনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা অতিরিক্ত বেড়েছে এবং দুর্ঘটনাই বেশি সংখ্যা কিশোরদের। মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বোঝা যায়, বর্তমানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রায় ৮০ শতাংশ হচ্ছে কিশোর যাদের বয়স ২০-এর নিচে। কম বয়সী ছেলেরা মোটরসাইকেল সহজে হাতে পেলে অতি আনন্দিত, প্রথম গাড়ি চালানোর মজা ও উত্তেজনা, যত খুশি গতি বৃদ্ধির কারণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেশি হয়।

অতিরিক্ত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে বেপরোয়া গতি, বারবার লেন পরিবর্তন, ট্রাফিক আইন না মানা, হেলমেট ব্যবহার না করা, আবার গ্রামগঞ্জে দেখা যায় স্কুল-কলেজ পড়–য়া মেয়েদের দেখে ওবার স্মার্ট হয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা সৃষ্টি হয়।

নাগরিকরা সচেতন হলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব। কোনোভাবেই বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চানানো যাবে না। মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালনোকালে প্রতিযোগিতা মনোভাব থেকে বিরত থাকতে হবে। মহাসড়কে সুরক্ষাসামগ্রী পরিধান করে মোটরসাইকেল চালাতে হবে। ভালো করে না শিখে নতুন চালককে মোটরসাইকেল চালাতে দেয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, চালক নিজে শুধু ঝুঁকি নয় অদক্ষ চালক হলে রাস্তায় পথযাত্রীদের ভোগান্তি ও বিপদে পড়তে হয়। পাশাপাশি প্রশাসনকেও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিদ্যমান আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে। বীরত্ব দেখানোর জন্য শুধু মোটরসাইকেল নয়, বেঁচে থাকলে অনেক জায়গায় বীরত্ব দেখানোর সুযোগ থাকবে।

হামিদুর রহমান বৈশাখী টিভি, ঢাকা