ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাইলজ অনুসরণ না করে ইচ্ছামতো নিয়মনীতি পাল্টানোর অভিযোগ এনে এবার বিসিবি ও ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) বিরুদ্ধে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের দল সোনার বাংলা ক্রীড়াচক্রের কো-অর্ডিনেটর আলী আহমেদ সাধু এ নোটিস পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন, সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম, সদস্য সচিব কো-অর্ডিনেটর আলী হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।
নিয়ম অমান্য করায় ফাঁসছে বিসিবি। কারণ, তৃতীয় বিভাগ লিগে পয়েন্ট তালিকার ক্রম ঠিক করতে এবার দুই নিয়ম বাস্তবায়ন করেছে সিসিডিএম। এমনিতে বাইলজে পয়েন্ট সমান হলে প্রথমে জয়ের সংখ্যা ধরার কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু সেটি না মেনে সুপার লিগের ৮ দলের ক্রম ঠিক করা হয়েছে মুখোমুখি লড়াইয়ের জয় হিসাব করে।
টুর্নামেন্টের রানার্সআপ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ফের বেশি ম্যাচ জয়ের হিসাবে ফিরে যায় সিসিডিএম। এর মাশুল দিয়ে তৃতীয় বিভাগ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে উঠতে পারেনি সোনার বাংলা ক্লাব। বিষয়টি নিয়ে সিসিডিএম ও বিসিবির ব্যাখ্যা চেয়েও পায়নি ক্লাবটি; যার কারণে তারা উকিল নোটিস পাঠায়।
এবারের তৃতীয় বিভাগ লিগের সর্বশেষ লিগ তালিকায় সোনার বাংলা ক্রীড়াচক্র ও গুলশানের পয়েন্ট সমান ছিল। জয়ের সংখ্যার বিচারে গুলশান এক ম্যাচ বেশি জেতে সোনার বাংলার চেয়ে। কিন্তু ‘হেড টু হেডে’ এগিয়ে ছিল সোনার বাংলা।
গত রোববার বিসিবি ও সিসিডিএমে ওই আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। সোনার বাংলা ক্রীড়াচক্র ক্লাব জানায়, এবারের তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে সিসিডিএম দুবার দুই রকম বাইলজ করেছে। প্রথমে বলা হয়েছে, দুদলের পয়েন্ট সমান হলে সর্বাধিকসংখ্যক জয়ের বদলে ‘হেড টু হেড’ ধরা হবে।
সেভাবেই প্রথম লিগ থেকে চারটি করে আট দলকে নিয়ে সুপার লিগ করা হয়েছে। কিন্তু লিগ টেবিলের রানার্সআপ নির্ধারণের সময় আবার সে আইন পাল্টে সর্বাধিকসংখ্যক জয়কে মানদণ্ড ধরার কথা বলা হয়েছে। তাতে করেই সোনার বাংলা ক্রীড়াচক্রের তৃতীয় বিভাগ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে ওঠার পথ হয়েছে রুদ্ধ।
অবশ্য এভাবে নিয়ম ভাঙা কিংবা পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং নতুন কিছু নয় দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে। এ নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি বোর্ড কর্তাদের। সব মিলিয়ে দেশের ক্রিকেটও এ কারণে পিছিয়ে পড়ছে!