পদ্মা সেতুতে বসল শেষ স্ল্যাব

বাকি শুধু পিচ ঢালাই ও রেলিং স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ জনপদের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে বসানো হলো শেষ স্ল্যাব। এখন পিচ ঢালাই হয়ে গেলে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু যানবাহন চলাচলের উপযোগী হবে। গতকাল সকাল ১০টায় সেতুতে সর্বশেষ রোড সø্যাবটি বসানো হয় বলে সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান

মো. আব্দুল কাদের জানান। তিনি বলেন, সেতুর মোট দুই হাজার ৯১৭টি সø্যাবের মধ্যে রোববার রাতে দুটি ও সোমবার সকালে শেষটি বসানো হয়েছে। শেষ সø্যাবটি বসেছে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারের স্প্যানে। জুলাই পর্যন্ত সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর মূল সেতুর কাজের ৯৪ দশমিক ২৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। সর্বশেষ সংশোধিত প্রকল্প অনুসারে, আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, পিচ ঢালাইয়ের কাজ অক্টোবরের শেষ দিকে শুরু হবে। তাতে তিন মাসের মতো লাগতে পারে। সড়ক বিভাজক ও পার্শ্বদেয়াল তৈরির কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। এরপর ৪২টি পিয়ারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয় ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। দোতলা এ সেতুর ওপর দিয়ে চলবে সাধারণ যানবাহন, আর নিচ দিয়ে ট্রেন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলাকে সরাসরি সড়কপথে ঢাকার সঙ্গে যুক্ত করছে এ সেতু। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যেই পদ্মা সেতুর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া যাবে বলে সরকারের তরফ থেকে আশা করা হচ্ছে।

অপরদিকে মূল পদ্মা সেতুর দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে সø্যাবের সবকটি স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র শীর্ষক জাতীয় শোক দিবসের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, এর মাধ্যমে পদ্মার দুই তীরের রাস্তার সংযোগ স্থাপিত হলো। আগামী অক্টোবরের শেষের দিকে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হবে। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উš§ুক্ত করে দেয়া হবে।

মন্ত্রী আরও জানান, মূল পদ্মা সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯৪ দশমিক ২৫ ভাগ। নদীশাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি শতকরা ৮৪ দশমিক ২৫ ভাগ। পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৭ দশমিক ২৫ ভাগ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০