বাজারের গতি ঘুরিয়ে দিল জিপি ও ব্যাংক খাত

রুবাইয়াত রিক্তা: প্রায় এক মাস ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেন স্থবির হয়ে আছে। নামতে নামতে ৩০০ কোটির ঘরে চলে এসেছে ডিএসইর দৈনিক লেনদেন। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে সব সময় সক্রিয় থাকার কথা থাকলেও তারাও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর মতো আচরণ করে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের দায়িত্ব হচ্ছে বাজারের ভারসাম্য রক্ষা করা। যখন বাজার প্রচণ্ড ঊর্ধ্বগতিতে বা বুলিশ প্রবণতায় থাকবে, তখন শেয়ার বিক্রি করে সূচকের গতি থামানো আর যখন বাজার বিয়ারিশ প্রবণতায় বা নিম্নমুখী থাকবে তখন শেয়ার কিনে বাজারের ভারসাম্য রক্ষা করা। সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এ ভূমিকা পালনের কথা থাকলেও আমাদের বাজারে তাদের এ ধরনের ভূমিকায় খুব কমই দেখা যায়। তারাও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মতো ডে ট্রেডিং নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।

গতকাল ব্যাংক খাত ও গ্রামীণফোনের লেনদেন বৃদ্ধি সূচক ও লেনদেনের গতি ঘুরিয়ে দিয়েছে। এক দিনের ব্যবধানে হঠাৎ করেই গ্রামীণফোনের লেনদেন বেড়েছে ২৬ কোটি টাকা। সূচক সামান্য বাড়লেও ডিএসইতে  মোট লেনদেন বেড়েছে ১১৭ কোটি টাকা। গতকাল ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় প্রায় ১১৪ কোটি টাকা। এ খাতের ৮০ শতাংশ শেয়ারের দর ইতিবাচক ছিল। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে সাড়ে ৬৩ কোটি টাকা। এ খাতের শাহজালাল ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের দর চার শতাংশের বেশি বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় অবস্থান করে। প্রকৌশল খাতে লেনদেন বেড়েছে ১২ কোটি টাকা। এ খাতের ন্যাশনাল টিউবস, অ্যাটলাস বাংলাদেশ ও ইস্টার্ন কেব্লস দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় অবস্থান করে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন বেড়েছে সাড়ে ১১ কোটি টাকা। এ খাতের ৬৮ শতাংশ শেয়ার দরপতনে ছিল। বস্ত্র খাতের সাড়ে ৬২ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। এ খাতে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। টেলিযোগাযোগ খাতে লেনদেন বেড়েছে ২৬ কোটি টাকার বেশি। এ খাত সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক ছিল। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের আগের দিন মাত্র দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হলেও গতকাল লেনদেন হয় ২৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকার। অর্থাৎ শেয়ারটির লেনদেন এক দিনেই বেড়েছে ২৬ কোটি টাকা। দর বেড়েছে এক টাকা ১০ পয়সা। ফলে বাজারের নেতৃত্ব দিয়েছে  গ্রামীণফোন।  এছাড়া ওটিসি মার্কেট থেকে মূল বাজারে প্রত্যাবর্তন করায় গতকাল আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিটির ২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এছাড়া শাহ্জালাল ব্যাংকের প্রায় ২৫ কোটি, স্কয়ার ফার্মা ১৯ কোটি, ন্যাশনাল টিউবস সাড়ে ১২ কোটি, সিটি ব্যাংক প্রায় ১১ কোটি ও ইসলামী ব্যাংকের ১০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।  ব্যাংক ও জিপি ছাড়াও বহুজাতিক কোম্পানি বিএটিবিসির ২৫ টাকা ২৬ পয়সা দরবৃদ্ধি সূচক ইতিবাচক করতে ভূমিকা রেখেছে।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০