বাজারে এলো কেরুজ ভিনেগার

শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোতে পণ্য বৈচিত্রকরণ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় এবার বাজারে এলো কেরুজ ভিনেগার। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতাধীন কেরু এ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড নতুন আঙ্গিকে এ পণ্য বাজারজাত শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানায় পণ্যবৈচিত্র্যকরণ এবং দেশিয় পণ্যের বাজার তৈরিতে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে কেরু এ্যান্ড কোম্পানি প্রথম বাজারে নিয়ে আসে কেরুজ হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি কৃষি উৎপাদন বাড়াতে পরিবেশবান্ধব জৈব সার “সোনার দানা” উৎপাদন ওবাজারজাত করছে। অন্যদিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন টিউব্স এলইডি লাইট উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পরীক্ষামূলকভাবে ডাবল কেবিন পিকআপ সংযোজন শুরু করেছে।

কেরুর মূল পণ্য হচ্ছে আখ থেকে উৎপাদিত চিনি। তবে আখ থেকে চিনি আহরণের পর উপজাত (চিটাগুড়, ব্যাগাস ও প্রেসমাড) পাওয়া যায়, তা থেকে জৈব সার উৎপাদিত হয়। ভিনেগার একধরনের অ্যাসিটিক অ্যাসিড ও পানির মিশ্রণে তৈরি । চিনি বা ইথানলকে গাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসিটিক এসিডে পরিণত করা হয়, যাকে সিরকা বা ভিনেগার বলা হয়।।

সারা বিশ্বেই এর ব্যবহার রয়েছে। মাছ বা মাংসের বাড়তি গন্ধ দূর করতে এটি অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের রান্নায় ভিনেগার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। হালকা ধরনের খাবার তৈরিতে যেমন স্যুপ বা বীজ জাতীয় খাবারে এর ব্যবহার বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া খাবার সংরক্ষণ, সবজি রান্না, সালাদ ড্রেসিং করা হয় ভিনেগার দিয়ে। এটি শরীরের বাড়তি চর্বি কাটতে সাহায্য করে।

কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবু সাঈদ বলেন, “ কেরুতে দুই ধরনের ভিনেগার উৎপাদিত হয়।সাদা ভিনেগার ও মল্টেড ভিনেগার। ১৯৯৫-৯৬ সাল হতে কেরুর ফার্মাসিউটিক্যাল বন্ধ হয়ে যাবার পর থেকে ডিস্টিলারী সহায়ক পণ্য শাখা স্থাপন করে ভিনেগার উৎপাদন শুরু হয়। উক্ত কারখানায় ভিনেগারের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৩০(ত্রিশ) হাজার লিটার। প্রতি ৪৫০ মিলিলিটারের বোতল ৫০ টাকা ও ৭৫০ মিলিলিটারের বোতল ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

খাদ্যকে জীবাণুমুক্ত করতে ভিনেগার অত্যন্ত কার্যকর। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে বাজারে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পাশাপাশি ভিনেগারে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার চাহিদা মেটাতে কেরু এন্ড কোম্পানি হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ভিনেগারের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

উল্লেখ্য, চিনি ও ডিস্টিলারী পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৩৮ সালে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০