বাজারে চিনির ঘাটতি থাকার কথা নয়: ভোক্তা অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে হঠাৎ করে চিনির ‘সংকট’ দেখা দিলেও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলছেন, দেশে ‘পর্যাপ্ত কাঁচামাল’ আছে, তাই ঘাটতি থাকার কথা নয়। চিনি মজুত রেখে বাজার অস্থির করার চেষ্টা হলে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে ১৮ লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা পূরণ করার জন্য ৯৮ শতাংশ কাঁচামাল ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার মতো দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এলসি অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ সুগার আমাদের আছে। সেই হিসেবে আমাদের বাজারে কোনো ঘাটতি থাকার কথা না। সমস্যা হলো, সেটাকে রিফাইন করা যাচ্ছে না, চলমান গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সংকটের কারণে।

বেশ কিছুদিন ধরেই সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দরে চিনি বিক্রি হচ্ছিল বাজারে। সরবরাহ সংকটের কথা বলে গত এক সপ্তাহে দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। রাজধানীর অনেক এলাকার মুদি দোকানে চিনি পাওয়াযাচ্ছে না বলেও খবর আসে গত সপ্তাহের শেষে।

সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে চড়া দামে চিনি বিক্রি এবং অনিয়মের কারণে শনিবার দেশজুড়ে চলানো বিশেষ অভিযানে দেড়শ ডিলার ও দোকানকে ৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এদিন সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘কোম্পানি থেকে চিনি দিচ্ছে না’ বলেই বাজারে চিনির সংকট চলছে। তাদের এ কথায় চলমান ‘সংকট’ শিগগিরই সমাধানের আশ্বাস দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এছাড়া ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা করতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন।

তিনি বলেন, আজকে বলে দিয়েছি, মিল থেকে সব চিনি ছেড়ে দিতে। কারওয়ান বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারিকে বলেছি, কার কতটুকু চিনি লাগবে, বলেন। আমি সরাসরি মিল থেকে কারওয়ান বাজারে চিনি ঢুকাব। কিন্তু আমার একটা কথা, চিনি ঢোকার পর আপনার যৌক্তিক লাভের চেয়ে যদি বেশি পড়ে, আপনি যদি কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা ব্যবসা করেন, সেটা আমরা হতে দেব না।

ভোক্তাদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি মাথায় রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, আমাদের আচরণটা এখন এমন হওয়া উচিত অতি মুনাফার দিকে না গিয়ে ক্রাইসিসটা মোকাবিলা করা। কারণ হলো, যদি ভোক্তা না থাকে, তাহলে এই ফ্যাক্টরি দিয়ে কী হবে? ভোক্তাদের আগে বাঁচতে হবে।

ব্যবসায়ীদের পণ্য বিক্রির রশিদ দেয়ার বিষয়েও বিশেষভাবে অনুরোধ জানান সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা মেমো দেয় না, কারণ মেমো দিলে তো কোথায় কি কারচুপি হচ্ছে, তা আর ধরা যাবে না। আপনি যদি মেমো না দিয়ে থাকেন, ধরে নেয়া হবে, আপনি এই কারচুপির সঙ্গে জড়িত।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০