Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 3:00 am

বাজারে টার্নওভারের বড় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে

পুঁজিবাজার সবসময় সঠিক জায়গাতেই থাকে কিন্তু আমরা ভাবি ভুল। আসলে পুঁজিবাজারকে আমরা যেভাবে চাই, সেভাবে না চললেই বলা হয় বাজার খারাপ। অর্থাৎ যে বিষয়গুলো পুঁজিবাজারের গতিবিধিতে পরিবর্তন আনতে পারে, সে বিষয়গুলো বাজারের অনুকূলে না থাকলে আমরা বলি বাজার ঠিকমতো এগোতে পারছে না। যেমন অনেকের দৃষ্টি সূচক কেন বাড়ছে না, আবার অনেকের দৃষ্টি বাজারের টার্নওভারের দিকে। অথচ কয়েক মাস ধরে পুঁজিবাজারের টার্নওভার ৩০০-৪০০ কোটির ঘরে নেমে এসেছিল। কিন্তু এখন তা হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। মানে টার্নওভারের একটি বড় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে; কিন্তু সেদিকে কারও নজর নেই। গতকাল এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচিত হয়। হাসিব হাসানের গ্রন্থনা, সম্পাদনা ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন টেকনিক্যাল অ্যানালিস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ মহসীন ও মো. জহিরুল ইসলাম।
মুহাম্মদ মহসীন বলেন, পুঁজিবাজার সব সময় সঠিক জায়গাতেই থাকে; কিন্তু আমরা ভাবি ভুল। আসলে পুঁজিবাজারকে আমরা যেভাবে চাই, সেভাবে না চললেই বলা হয় বাজার খারাপ। কিন্তু বর্তমানে বাজারের যে গতি, তাতে তার মতো করে সে ঠিক জায়গাতেই আছে। অর্থাৎ যে বিষয়গুলো পুঁজিবাজারে গতিবিধিতে পরিবর্তন আনতে পারে, সে বিষয়গুলো বাজারের অনুকূলে নেই বিধায় বাজার আমাদের প্রত্যাশামতো এগোতে পারছে না। যেমন অনেকের দৃষ্টি সূচক কেন বাড়ছে না, আবার অনেকের দৃষ্টি বাজারের টার্নওভারের দিকে। অথচ কয়েক মাস যাবৎ পুঁজিবাজারের টার্নওভার ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছিলÑযা এখন এক হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। মানে টার্নওভারের একটি বড় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে; কিন্তু সেদিকে কারও নজর নেই। আবার কিছু খাতভিত্তিক গেইনও হয়েছে বাজারে। বস্ত্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বেশ কিছু শেয়ারে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কাজেই বাজার যে গতিতে চলছে, তাতে আমি কোনো অসংগতি বা সমস্যা দেখছি না। বাজারের মূল সমস্যা হচ্ছে, এখানে যারা বিনিয়োগ করেন, তাদের অধিকাংশেরই স্বল্প সময়ে অধিক লাভের মানসিকতা থাকে। আর থাকে নিজের প্রত্যাশামতো বাজার চলার মনোভাব। তাছাড়া বাজার সম্পর্কে অনেকের সঠিক জ্ঞানের অভাব বা না জানতে চাওয়া অথবা একঘেয়েমি মনোভাব থাকায় আমরা কিছু ধারণা নিয়ে চলি আর সেগুলোই প্রচার করি। দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বাজার অনেক ভালো হওয়ার কথা এবং ভবিষ্যতে এটি অনেক ভালো হবেও।
মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর সব স্টক এক্সচেঞ্জেই দেখা যায় যখন একটি শেয়ার অবমূল্যায়িত অবস্থায় থাকে, তখন তার নেতিবাচক খবরগুলো আসে এবং এটি খুবই স্বাভাবিক। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শুরুর আগে বাছাই করতে হবে কোন শেয়ারে বিনিয়োগ করা হবে ও কোন শেয়ার থেকে মুনাফা আসবে এবং প্রত্যাশিত লাভের পরিমাণটিও ঠিক করতে হবে। আর সে অনুযায়ী বাজারে লেনদেন করতে হবে। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের প্রথম শর্তই হচ্ছে কোনো কোম্পানির শেয়ারে প্রবেশের আগেই বের হওয়ার পথ পরিষ্কার করতে হবে। মানে বিনিয়োগকারীকে আগেই ঠিক করতে হবে শেয়ারদর কোন পর্যায়ে গেলে বেরিয়ে আসতে হবে। এটা যদি একজন বিনিয়োগকারী আগেই ঠিক করতে পারেন, তাহলে ঝুঁকির মাত্রা বেশি থাকলেও এবং তিনি ইচ্ছামতো শেয়ার কিনলেও বছর শেষে ৫০ শতাংশ লাভ করতে পারেন। আর এটি গাণিতিকভাবে প্রমাণিত।

শ্রুতিলিখন: রাহাতুল ইসলাম