নিজস্ব প্রতিবেদক : গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে কিছু সবজির দাম কমেছে। আবার কিছু সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। সবজির বাজারে স্বস্তি থাকলেও প্রায় সব রকম ডালের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। একই সঙ্গে বাড়ছে আলুর দাম। বিক্রেতারা বলছেন, ডালের দাম বাড়ালে সমস্যায় পড়বে স্বল্প আয়ের মানুষ।
গতকাল শুক্রবার মিরপুর এক নম্বরের কাঁচাবাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মসুর ডালের কেজি ১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১০৫ টাকা, মুগ ডাল ১৩০ টাকা, খেশারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯০ টাকা, ছোলা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে মসুরের ডাল ১২৫ টাকা কেজি, মোটা মসুরের ডাল ৯০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, খেশারি ডাল ৭০ টাকা, বুটের ডাল ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, এ ডালগুলোর দাম বেড়েছে ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকায়, এছাড়া আগের আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায়। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায় আর আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়।
সেলিম ডিপার্টমেন্ট স্টোরের স্বত্বাধিকারী সেলিম বলেন, প্রায় সব ধরনের ডালের দামই বেড়ে গিয়েছে। মোটা মসুরের ডালটা সাধারণত স্বল্প আয়ের মানুষই বেশি নিয়ে থাকে। কিন্তু এটারই দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এ ডালের দাম বাড়াতে তাদের সমস্যাই হবে।
বাজার করতে আসা কামাল হোসেন বলেন, সব কিছুর দাম এমনিতেই বেশি। তার ওপর এখন ডালের দামও বাড়ছে। আমি বেশিরভাগ সময় মোটা মসুরের ডালই কিনতাম। এখন যে অবস্থা তাতে ডাল দিয়ে ভাত খেতে হলেও হিসাব নিকাশ করতে হবে মনে হচ্ছে।
মুদি দোকানের অন্যান্য পণ্য মোটামুটি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, চিনি ১৩৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৪০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১২০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে গতকাল বাজারে বেশ কিছু সবজিই বিক্রি হচ্ছে কিছুটা কম মূল্যে। লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ৮০-১২০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, শিম ২০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি লাউ ৬০ টাকা ও চাল কুমড়া ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় লম্বা বেগুন ১০ টাকা, গোল বেগুন ২০ টাকা, পেঁপে ১০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১০ টাকা, আর প্রতিটি লাউ ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা, দেশি আদা ২২০ টাকা, ইন্দোনেশিয়ার আদা ২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২২০, দেশি রসুন ২৫০ টাকা, আলু ৪৬-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা বেশিতে।
বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ১৩০০ থেকে ১৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৫৬০-৬২০ টাকা, কাতল মাছ ৪৫০ টাকা, কালবাউশ ৭৫০ টাকা, চিংড়ি ৯০০-১৪০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৭০০ টাকা, কৈ মাছ ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০-৬৫০ টাকা, বেলে মাছ ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৭৭-১৮০ টাকা, কক মুরগি ২৯৬-৩০৫, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।