Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 6:07 pm

বাজারে শীতের সবজি উঠলেওদাম নাগালের বাইরে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে এসেছে শীতের সবজি ফুলকপি, বাধাকপি ও শিম। পাওয়া যাচ্ছে আমদানি করা গাজর ও টমেটোও। তবে দাম নাগালের বাইরে। সপ্তাহের ব্যবধানে ফুলকপি বাধাকপির দাম কমলেও কমেনি শিম, টমেটো ও গাজরের দাম। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। আর টমেটো ১২০-১৪০ টাকা ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহেও গাজরের দাম ছিল ১৩০ টাকা। এখন কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা। আর আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। ফুলকপি ও বাধাকপি গত সপ্তাহে ছিল পিস ৪০ টাকা। এ সপ্তাহে পিস প্রতি ১৫ টাকা করে কমলেও সাইজে ছোট।

সাজ্জাদ আলম নামে এক ক্রেতা বলেন, দুটোর দাম কমলে বাড়ে আরও তিনটি সবজির দাম। শাকের দাম কমেছে কিন্তু বেড়েছে মরিচের দাম। বাজারে সবজির অভাব নেই। কিন্তু অধিকাংশ সবজির দাম ৫০ টাকার বেশি।

বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম বাড়ার স্পষ্ট কারণ জানা নেই। তবে, অধিকাংশ সবজিই গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে।

রামপুরার বউবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. খোকন বলেন, বেগুন গত সপ্তাহে কিনেছি ৭০ টাকায়। আজ কিনতে হয়েছে ৪৫ টাকায়। বিক্রি তো ৫৫-৬০ টাকায়। তবে গোল বেগুন ৭০ টাকা।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহেও ঢ্যাঁড়স ছিল ৫০ টাকা, আজ তা ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে, কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। কাঁকরোলে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহেও যা ছিল ৫০ টাকা। শসার দাম হেরফের না হওয়ায় ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, লাউ ৫০ থেকে ৬০, কচুর মুখি ৬০ ও লতি ৬০ টাকা। দাম কমায় করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা। তড়ই ৬০, ঝিঙ্গা ৭০, চিচিঙ্গা ৭০, পটোল ৫০। মুলার কেজি আগের মতোই ৬০ টাকা।  কাঁচকলার হালি ৪০ টাকা।

বিক্রেতা খোকন মিয়া বলেন, গত সপ্তাহেও এসব সবজির দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়তি ছিল। তবে শুধু পেঁপেই মিলছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।

ওয়াহেদুল ইসলাম নামে ক্রেতা বলেন, শীতের সবজি নামছে কিন্তু দাম অনেক বেশি। শিম খেতে মন চায় কিন্তু কেজি ১৪০ টাকা। তাই বাধ্য হয়ে ২৫০ গ্রাম শিম কিনেছি।

বাজার ঘুরে জানা যায়, কমেছে শাকের দাম। পাট শাক দুই আঁটি ১৫, কলমি শাক দুই আঁটি ২০, কচুরলতি দুই আঁটি ১০, মুলা দুই আঁটি ২০, লাল শাক দুই আঁটি ২০, পুঁইশাক ২০ ও শাপলা ডাটা ১০ টাকা। তবে ধনেপাতা ১০০ গ্রাম ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর লেবুর হালি ১০ টাকায় মিলছে।

নি¤œ আয়ের মানুষের পছন্দের লাউয়ের দাম ১০-১৫ টাকা করে কমেছে। ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে লাউ। জালি কুমড়া ৪০ টাকা পিস।

শাক বিক্রেতা রাজু বলেন, শাকের দাম বেশি ছিল। লাল শাকের এক আঁটি ছিল ২০ টাকা। এখন তা জোড়া ২০। পুঁই শাকের দামও কমেছে। বিক্রিও হচ্ছে বেশি। টমেটো ও গাজরের দাম শুনে অনেক ক্রেতা ফিরে যাচ্ছেন। যারাও কিনছেন তারা অল্প করে কিনছেন।

সবজি কিনতে আসা নাছরিন বেগম বলেন, সামর্থ্যরে মধ্যে শাক, পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া। কিন্তু মরিচের দাম বেড়েছে। লাউয়ের দামও বাড়তি। আলুও ৩৫ টাকা। বাকি সবই ৬০ টাকার ওপরে।

মরিচের দাম সম্পর্কে বিক্রেতা রইছ উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহে পাঁচ কেজির পাল্লা কিনেছি ২২০-২৫০ টাকায়। তা ৩৫০ টাকা। প্রায় ১৫০ টাকা বেড়েছে। তাই খুচরাতেও বেড়েছে। আড়াইশ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।