মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: পুঁজিবাজারে সময়সূচি (লেনদেনের) পরিবর্তনের পর থেকে লেনদেন বাড়তে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি বাজারচিত্রও কিছুটা বদলেছে। সম্প্রতি পরপর তিন কার্যদিবস বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে মুনাফা তুলে নেন বিনিয়োগকারীরা। গতকালও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। তবে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী ছিলেন বাজার পর্যবেক্ষণ মেজাজে। বাজার পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, এটা ভেবে লেনদেনযোগ্য টাকা থাকার পরও শেয়ার কেনেননি অনেক বিনিয়োগকারী।
এদিকে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার না কেনার কারণে গতকাল তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারেই সারা দিন ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা বেশি দেখা গেছে, যার ফলে দর কমে গেছে অনেক কোম্পানির শেয়ারের। আর এর জের ধরে কমে গেছে সূচক। গতকাল দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক হ্রাস পায় সাত পয়েন্টের বেশি। লেনদেন শেষে সূচক স্থির হয় চার হাজার ৮২ পয়েন্টে।
অন্যদিকে গত কয়েক দিনের মতো গতকালও মূল মার্কেটে লেনদেন ছিল সন্তোষজনক। এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন ছিল ২৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন ছিল ৫০ কোটি টাকা। বাকি ২৩৯ কোটি টাকা ছিল মূল মার্কেটের লেনদেন।
বর্তমানে বাজারে বিনিয়োগকারীদের যে পরিমাণ অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে, তাতে খুব শিগগির লেনদেন আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন সবাই। বিশেষ করে ঈদের আগে আগে বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়বে। এতে লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই বিক্রির চাপ বাড়লে বাজার নিন্মমুখী হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। বিক্রয় চাপ বাড়লে বেশিরভাগ সময়ই সূচক নিন্মমুখী থাকে। তাই এ সময়ে ভয় পেয়ে শেযার বিক্রি করে দেওয়া উচিত হবে না।
এদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, আগের কার্যদিবসের মতো গতকালও কোনো একক খাতের আধিপত্য ছিল না। বিনিয়োগকারীদের লেনদেন করতে দেখা গেছে কোম্পানির বিচারে। তারা ভালো মানের কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন। সে কারণে গতকাল যেসব কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে তার বেশিরভাগই ছিল মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি। তবে এর মধ্যেও জিল বাংলা সুগার, শ্যামপুর সুগারসহ কিছু ‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়তে দেখা গেছে, যা বাজারের জন্য শুভ সংকেত নয়। তাই বিনিয়োগকারীদের উচিত হবে এই ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ করা থেকে দূরে থাকা।
